বাবা-মার উপর প্রচন্ড রেগে গিয়ে, পড়াশোনা না করে বাসন মাজতে চাইছে ছোট্ট খুদে, তুমুল ভাইরাল ভিডিও
ছোট বাচ্চারা চায় তার বাবা মা যেন তার পাশে থাকে ও তাকে সবসময় সঙ্গ দেয়। কিন্তু বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার বাবা মারা যে যার মত ব্যস্ত অপরদিকে বাচ্চারা নিজেদের মনে খেলতে ব্যাস্ত। যার ফলে বাবা-মা ও বাচ্চাদের মধ্যে বেড়ে যাচ্ছে দূরত্ব। কিন্তুই এবারে দেখা যাচ্ছে একটি বাচ্চা তার বাবা-মার উপরে প্রক্ঘন্ড রেগে আছে। মা-বাবার একটাই দোষ তারা তাকে খালি পড়তে বসতে বলে। আর পড়তে বসলেই এই ছোট্ট বাচ্চার মাথা ভীষণ গরম হয়ে যায়। সে এতটাই তাদের উপর রেগে যায় যে সে বলে বাড়িতে থাকবে না । সে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঝাঁট দেবে, ঘর মুছবে তবু সে বাড়ি থাকবেনা। সমস্ত রাগ সে উগরে দিল তার প্রাইভেট টিউশন দিদির কাছে।
এরপরেই দেখা যাচ্ছে সে আরও বলছে যে তার দিদি যতই তাকে পড়তে বসতে বলছে সে ততই বলছে এরকম বাবা-মা তার চাই না। একদিকে করোনা আবহে বাচ্চারা বাইরে যেতে পারছে না যার জন্য তারা গৃহবন্দী। বাড়িতে বসে অনলাইন ক্লাস আর সারাদিন মা-বাবার বকুনি খাওয়া ছাড়া তাদের ভাগ্যে আর কিছুই জুটছেনা। স্কুলে গিয়ে না বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, না একটু আড্ডা হৈ-হুল্লোড় হচ্ছে সবকিছুই বন্ধ।
বাচ্চারা গৃহবন্দী হয়ে থাকতে পছন্দ করে না তার চায় যে তারা বাইরে গিয়ে বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি করবে খেলবে। ছোট অবস্থাতে গৃহবন্দী হয়ে থাকলে বাচ্চাদের মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটে। ওরা চায় খোলা প্রকৃতির সাথে খেলতে। লকডাউনে বাবা-মার উপরে যেমন রয়েছে অর্থনৈতিক চাপ, সামাজিক চাপ ঠিক তেমনি শিশুরাও মানসিক চাপে ভুগছে। তার মনকে বোঝাতে চেষ্টা করুন পড়াশোনা তো করতেই হবে কিন্তু পড়াশোনার পাশাপাশি তাকে সময় দিন। বাচ্চাদের শুধু শাসন করলেই হবে না।
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আমরা ঘরে বসে থেকে সবকিছু জানতে পারি সারটা বিশ্বের খবর ঘরে বসে থেকেই পাওয়া যায়। কখনো কারোর নাচ, গান, আবৃত্তি নানান রকমের প্রতিভা। আবার কখনো এই সমস্ত জীব জন্তুদের ঘটানো নানান রকম কাণ্ডকারখানা আগেকার দিনে এই সমস্ত জিনিস দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হতো টেলিভিশনের পর্দায় ন্যাশনাল জিওগ্রাফি, এনিম্যাল প্ল্যানেট, ডিসকভারির উপর। বেশি কিছু নয় এখন হাতের কাছে একটা মোবাইল থাকলেই সমস্ত বিশ্ব মুঠোর মধ্যে চলে আসে।সম্প্রতি বাচ্চা ছেলেটির ভাইরাল হওয়া ভিডিও মুহূর্তে তুমুল ভাইরাল হয়ে যায়।