দীর্ঘ ৩৫ বছর পর পরিবারে জন্ম নিল কন্যাসন্তান, একরত্তি ঘরের লক্ষীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে হেলিকপ্টার ভাড়া করলেন বাবা-ঠাকুরদা
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে প্রতিনিয়ত নানান ঘটনা। সম্প্রতি ভাইরাল হলো এক পরিবারের ঘটনা। যেই পরিবারে ৩৫ বছর কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে। কন্যা সন্তান জন্মানোয় সন্তানের মা- বাবা তো খুবই খুশি কিন্তু সবথেকে বেশি খুশি হয়েছেন বাড়ির বয়োজেষ্ঠ্য নবজাতকের ঠাকুরদা। তিনি ছেলেকে পরিষ্কার বলে দিয়েছিলেন, নাতনি রাজকীয়ভাবেই বাড়িতে আসবে। তাই তিনি নাতনি কে বাড়িতে আনার জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া করে ছিলেন। এবং তার কথার কোনো নড়নচরণ হয়নি। নবজাতক হেলিকপ্টারে করেই মামাবাড়ি থেকে ঠাকুরদার বাড়িতে ফিরেছে।
এই পরিবার দেখা গিয়েছে রাজস্থানের নাগৌর জেলায়। সেখানকারই বাসিন্দা হনূমান প্রজাপতি এবং তার স্ত্রী চুকি দেবী। গত মার্চ মাসের ৩ তারিখে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন চুকি দেবী। সন্তানের জন্ম নাগৌরের জেলা হাসপাতালেই হয়েছিল। তারপর মা এবং মেয়ে কে তার বাপের বাড়িতে পাঠানো হয়। চুকি দেবীর শশুর বাড়ির লোকেরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যাতে মা এবং মেয়ের ভালো করে যত্ন হয়। স্বামী-স্ত্রী সাধ করে মেয়ের নাম রেখেছেন রিয়া। রিয়ার ঠাকুরদা মদনলাল কুমহারের পরিকল্পনাতেই হেলিকপ্টার ভাড়া করা হয়েছিল রিয়া কে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য। তারপর গত বুধবার চুকি দেবী বাপের বাড়ি হারসোলে জেলা থেকে সদ্যোজাত মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি নাগৌরে ফিরেছেন।
Rajasthan: A family from a village in Nagaur district hired a helicopter to bring home their new born girl child.
“After 35 years we have been gifted with a daughter in the family so we made this arrangement. I’ll fulfill all her dreams” said Madan Lal, grandfather of the baby. pic.twitter.com/0j3NT8E4jL
— ANI (@ANI) April 23, 2021
মেয়ের বাবা হনূমান প্রজাপতি জানিয়েছেন, ‘মেয়ে হয়েছে বলে দারুণ খুশি তিনি ও তাঁর পরিবার। সন্তানকে স্পেশ্যাল কিছু উপায়ে বাড়ি নিয়ে আসবেন, এই পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। শেষ পর্যন্ত হেলিকপ্টার ভাড়া করার বুদ্ধি দেন হনুমান প্রজাপতের বাবা’। ছেলেকে বলেন, ‘রাজকন্যা হেলিকপ্টার চড়েই তার বাড়িতে আসবে’। এরপরই নিজের গ্রাম নিম্বি চন্দওয়াটা থেকে হারসোলে পর্যন্ত হেলিকপ্টার ভাড়া করেন মেয়ের বাবা।
যদিও রাস্তা ছিল মাত্র ৪০ কিলোমিটারের। হেলিকপ্টারে আসতে খুব বেশি ১০ মিনিট সময় লাগবে। কিন্তু তা বললে কি হয় ? একরত্তি ঘরের লক্ষি রিয়া বাড়ি ফিরবে বলে কথা, স্পেশাল তো হতেই হবে। শুধু এতটুকুই নয় রিয়ার ভবিষ্যৎ জীবনের পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন তার বাবা এবং ঠাকুরদ। বাবা এবং ঠাকুরদা দুজনেই বলেছেন, ‘মেয়েক পড়াশোনা শিখিয়ে তার জীবনের সমস্ত স্বপ্নপূরণের দায় এখন তাঁদের’।