স্বামী জীবিত থাকতেও মাসের পর মাস, স্ত্রীরা নিচ্ছেন বিধবা ভাত! বিডিও নিলেন পদক্ষেপ
স্বামীরা বেঁচে আছেন। কিন্তু নিজেদের বিধবা দাবি করে কেউ গত বছরের জুন মাস থেকে, তো কেউ জানুয়ারি থেকে বিধবা ভাতা নিয়েছেন। এমনই অভিযোগে ১২ জন নারীর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করলেন বিডিও।
ভারতের ঝাড়খণ্ডের সিমডেগা’তে ঘটেছে এই ঘটনা। এমন গুরুতর অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পঙ্কজ কুমার নামে ওই বিডিও-র অভিযোগ, অনেক দিন ধরে বেশ কয়েক জন নারী অনৈতিক ভাবে সরকারি ভাতা নিচ্ছেন। পুলিশের কাছে অভিযুক্তাদের নাম উল্লেখ করে বিডিও-র দাবি, ‘গত ৮-১০ মাস ধরে বিধবা ভাতার টাকা নিচ্ছিলেন ১২ জন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন অডিট হয়। তারপর এই ঘটনা জানতে পারা গিয়েছে। মোট ১২ জন নারী নথি নকল করে অথবা ভুয়ো তথ্য দিয়ে এই কাজ করেছেন।’
কিন্তু কী ভাবে এতগুলি মাস এ ভাবে সরকারি ভাতা পেয়ে গেলেন অভিযুক্তেরা, তা নিয়ে কোনও উত্তর দেয়নি প্রশাসন। বিডিও-র কথায়, ‘কী ভাবে কোনও তথ্য জমা না করে ওই নারীরা টাকা তুললেন, সেটাই রহস্যের।’
তার দাবি, উপভোক্তাদের তালিকায় সরাসরি ওই নারীদের নাম উঠেছে। তা হলে কি প্রশাসনের অন্দরে থেকে এই দুর্নীতিতে কেউ সহায়তা করেছেন? বিডিও জানাচ্ছেন, সেটাই তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।
বিডিও যে ১২ জন নারীর নাম জমা করেছেন থানায়, তাদের খোঁজখবর শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ‘মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য নারী নিরাশ্রিত বিধবা নারী সম্মান যোজনা’র টাকা বেআইনি ভাবে ওই নারীরা নিয়েছেন বলে যে অভিযোগ এসেছে, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি বিধবাদের জন্য রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে উপকৃত হন কয়েক হাজার বিধবা। ওই বিধবাদের ছেলেমেয়ে অথবা নাতিনাতনি যদি নাবালক হয়, তাদের শিক্ষার জন্যেও মাসে মাসে একটা ভাতা দেয় ঝাড়খণ্ড সরকার।
সূত্র: আনন্দবাজার