চোখের জলে লবণ কীভাবে আসে? জেনেনিন সেই বৈজ্ঞানিক কারণ
চোখের জল কখনও চিহ্বায় গিয়েছে? যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে বুঝতেই পেরেছেন চোখের জল যে নোনতা! প্রশ্ন হলো, চোখের জল নোনতা কেন?
আমরা প্রতিনিয়ত যে খাবার খাই, এর মধ্যে অন্যতম লবণ খাই। বলা চলে এই খাবার সবকিছুর সঙ্গেই খাওয়া হয়। শরীরের পাকস্থলী খাদ্য থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করে। এ সময় লবণ রক্তপ্রবাহে সঞ্চালিত হয়। ল্যাক্রিম্যাল গ্ল্যান্ড থেকে চোখের জল বের হয়। এই গ্ল্যান্ড দিয়ে রক্ত সঞ্চালিত হওয়ার সময় চোখের জল লবণাক্ত হয়ে পড়ে।
ফরাসি রসায়নবিদ ল্যাভয়সিঁয়ে সম্পাদিত একটি বৈজ্ঞানিক সাময়িকীতে জানা যায় চোখের জলে লবণ কতটা ও কী অনুপাতে আছে। এই রাসায়নিক বিশ্লেষণ ১৭৯১ সালের আগে কেউ জানতো না।
ওই বিজ্ঞান সাময়িকীতে বলা হয়, চোখের জলে সবচেয়ে বেশি রয়েছে সোডিয়াম ক্লোরাইড। এটা হলো সেই লবণ, যা আমরা রান্নার সময় ব্যবহার করি। এরপরই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ লবণ হলো পটাশিয়াম ক্লোরাইড। এ ছাড়া রয়েছে ক্যালসিয়াম বাইকার্বনেট, ম্যাঙ্গানিজসহ আরও কিছু উপাদান, যা লবণ তৈরিতে সাহায্য করে।
১৯৫০ সালে এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, চোখের জলে সোডিয়ামের ঘনত্ব যতটা, রক্তের মূল উপাদান রক্তরসেও ততটা। সে জন্য রক্তের স্বাদও নোনা। রক্তরসের এই সোডিয়ামই চোখের জলকে নোনা করে।
প্রশ্ন হলো, নোনা জলে তো চোখ জ্বালা করার কথা, সেই অস্বস্তি হয় না কেন? আসলে চোখের জল নোনা হলেও তাতে লবণের ভাগ খুবই কম। এত হালকা নোনা হওয়ার কারণেই চোখের জলে তেমন কোনো অস্বস্তিবোধ হয় না।