অফবিটআন্তর্জাতিক

যে কারণে গাছকে বিয়ে করলেন বিদেশী এই তরুণী

আমরা সকলেই জানি বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন। যে বন্ধনে দুটি মানুষ পরস্পর পরস্পরের প্রতি থাকে দায়বদ্ধ। কিন্তু আমাদের সমাজেই কিছু বিয়ের ঘটনা সমাজের মানুষদের অবাক করে দেয়। প্রকৃতি প্রেমী কেট পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই বিয়ে করলেন গাছকে।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডের লিভার পুলের বাসিন্দা ৩৮ বছরের কেট কানিংহাম তার প্রথম বিবাহ বার্ষিকী পালন করলেন। যদিও বিবাহিত যেকোনো ব্যক্তি এই অনুষ্ঠান পালন করতে পারেন। তবে কেটের এই বিষয়টি উঠে এসেছে তার স্বামীর কারণে। কারণ তার স্বামী কোনো মানুষ নন, তার স্বামী হলো একটি এল্ডার গাছ। আর এর পেছনে রয়েছে গভীর চিন্তা ভাবনা। কেটের একজন বয়ফ্রেন্ড ও দুজন সন্তান রয়েছেন।

সেফটনের রিমরোজ ভ্যালি কান্ট্রি পার্কে বাস করে কেটের এই ‘গাছ স্বামী’। আসলে আজ থেকে এক বছর আগে এই পার্কার গাছ কেটে এখন দিয়েই একটি বাইপাস রোড তৈরী করার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। আর সেখানকার বাসিন্দারা চাইছিলো না এই পার্ক ধ্বংস করে তৈরী হোক নতুন রাস্তা। তাই সেখানকার বাসিন্দারা বিভিন্ন ভাবে করেছিলেন আন্দোলন।

আর সেই আন্দোলনকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়ে কেট ওই পার্কার একটি এল্ডার গাছ কে বিয়ে করে নেন সামাজিক নিয়ম মেনেই। শুধু তিনি বিয়েই করেননি নিজের পদবি কেটে এখন তিনি হয়েছেন কেট ‘এল্ডার’। তবে গাছকে বাঁচানোর এই পরিকল্পনা তার মাথায় আসে মেক্সিকোর এক মহিলার কথা জানানর পর ওই মেক্সিকান মহিলাও সবুজ বাঁচানোর জন্যই নিয়েছিলেন এই অভিনব উপায়।

কেট জানিয়েছেন যে যদিও তার ১৫ বছরের সন্তান তার এই সম্পর্ক নিয়ে কিছুটা বিব্রত বোধ করে তবে সে বড়ো হলে বুঝতে পারবে এই বিবাহের পেছনে রয়েছে গভীর চিন্তা। আর তখন তার ছেলে তার মায়ের এই কাজের জন্য গর্ব বোধ করবে।

বিয়ের পর থেকে কেট দিনে পাঁচ বার সময় করে নিয়মিত যান তার স্বামী যাকে দেখতে। কেটের আশা এই বিবাহ সবুজ বাঁচানোর আন্দোলনকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিশ্বজুড়ে সবুজ বাঁচানোর আন্দোলন গড়ে তোলার এটাই সঠিক সময়।

সম্প্রতি তার পরিবার ও আত্মীয়দের নিয়ে বিবাহবার্ষিকী পালন করার কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।

Back to top button