বিশেষ: বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা গাড়ি, গাড়ির ভেতরেই রয়েছে সুইমিংপুল ও হেলিকপ্টার ল্যান্ডিং
গাড়ির মধ্যেই আছে সুইমিংপুল। এটির উপর ল্যান্ড করতে পারি হেলিকপ্টার। ‘দ্য আমেরিকার ড্রিম’নামে এই গাড়িটি লম্বায় ১০০ ফুট। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অনুযায়ী এটি পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা গাড়ি। অসাধারণ ইঞ্জিনিয়ারিং এর কারণে পৃথিবীর সব গাড়ি থেকেই ব্যতিক্রমী এটি।
বিলাসিতায় পাঁচতারকা হোটেলের সঙ্গে তুলনা চলে। কারণ এই একটি গাড়িতেই রয়েছে সুইমিংপুল, স্পা, কিং সাইজ বেড, সান ডেক সহ আরো অনেক সুবিধা। হেলিকপ্টার ল্যান্ড করার জন্য রয়েছে একটি হেলিপ্যাড। বিশাল এই গাড়িটিতে রয়েছে ২৬টি চাকা। রয়েছে ২টি চালক কেবিন আর দুই ইঞ্চিন বিশিষ্ট গাড়ি দুই দিক থেকেই চালানো যায়। এটি নির্মাণ করা হয় ১৯৮০ দশকে। হলিউড চলচ্চিত্রে ব্যবহারের জন্য গাড়িটি তৈরি করে ক্যালিফোর্নিয়ার ‘কাস্টম কার গুরু’ হিসেবে পরিচিত জয় অহরবার্গ।
১৯৯০ সালে ১০০ ফুট লম্বা এই গাড়িটি নির্মাণ কাজ সফলভাবে শেষ করেন তিনি। তবে এতো চিৎকার বিশাল সাইজের যানটি সড়কে চলাচলের অনুমতি পায়নি কখনো। সরু পথে এটি পরিচালনা বা ড্রাইভিং করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। এই বিশাল গাড়িটি চালকের নিজের আয়ত্তে রাখা খুব কষ্টকর। আর এজন্য বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা গাড়ি আমেরিকা ড্রিমকে হলিউডের বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজেই ব্যবহার করা হতো।
২০১৪ সালে নিউইয়র্ক অটোসিয়াম অটোমোটিভ টিচিং জাদুঘর ঘোষণা করে যে, আমেরিকান ড্রিম লিমোজিনকে সংরক্ষণ করা হবে। এখন থেকে গাড়ি প্রযুক্তি নিয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়ক হিসেবে এটি ব্যবহার করা হবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়িটি ১০০ মিটার লম্বা হলেও ছোট গাড়িটি কিন্তু মাত্র ৫৪ ইঞ্চি লম্বা। পিল পি-৫০নামের গাড়িটি ব্রিটেনের পিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে প্রথম তৈরি হয়েছিল এটি। যার দৈর্ঘ্য ছিল ৫৪ ইঞ্চি, প্রস্থে ৩৯ ইঞ্চি। ছোট্ট গাড়িটির ওজনও ছিল কম- মাত্র ৫৯ কিলোগ্রাম। এটি খুবই অল্প জায়গার মধ্যে পার্ক করে ফেলতে পারবেন যে কেউ।
গাড়ির সামনে দুটি চাকা, পেছনে একটি চাকা রয়েছে। নেই কোনো ‘ব্যাক গিয়ার’বা ‘রিভার্স গিয়ার’। গাড়িতে একটি মাত্র দরজা আর একটি উইন্ডস্ক্রিন ওয়াইপার রয়েছে। আর এসব বৈশিষ্ট্যের কারণে গাড়ির ওজন এত হালকা। এ ধরনের ছোট গাড়ি বেশি দূর চলার উপযোগী নয়। পিল তৈরি করা হয়েছিল শহরের সীমিত দূরত্ব এরমধ্যে চলাফেরার জন্য।
এ ধরনের ছোট গাড়ির ১৯৬০ সালের দিকে বেশ জনপ্রিয় ছিল। পিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি পিল পি-৫০-কে আরো জনপ্রিয় করতে অভিনব একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করেছিল। তাদের বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল গাড়ির ডিজাইন করা হয়েছে একজন মানুষ, আরেকটি শপিং ব্যাগ বহনের উপযোগী করে। তবে নির্মাতা সংস্থা পিল এই মডেলের গাড়ি খুব বেশি তৈরি করেনি। মাত্র ৫০ টি তৈরি করেছিল। পরে ২০১০ সালে আবার নতুন করে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গাড়ি তৈরি করা শুরু হয়।