অফবিট

শরীর নয় মার্বেলের মূর্তির উপর উল্কি এঁকেই এখন ইনি বিশ্ব বিখ্যাত

আমাদের দেশেও অনেকেই আছেন যারা তোকে বিভিন্ন রঙের ও বিভিন্ন আকারের উল্কি ও ট্যাটু আঁকতে ভালোবাসেন। আর সেই তালিকায় আছেন নায়ক, গায়ক,খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষরাও। আর এই ট্যাটু করা কারো কাছে নেশা আবার কারো কাছে পেশা হয়ে ধরা দিয়েছে।

আর আমাদের দেশেও এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে ক্রমশ। তবে এর মাঝেই ব্যতিক্রমী ভাবে ধরা দিয়েছেন ইতালির এক শিল্পী। তিনি মানুষের তোকে নয় মার্বেলের মূর্তির উপর উলকে েকে অর্জন করেছেন খ্যাতি। তরুণ বয়সের এই শিল্পী ট্যাটুকে পৌঁছে নিয়ে গিয়েছেন এক অন্য মাত্রায়। তাত্যু ও উল্কি করা কোনো কষ্টের কাজ নয়। আর সেরকম কোনো ব্যথা ছাড়াই এই কাজ করা যায়। তবুও ফোবিয়া কেন এই কাজে এখন তাই নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ তোকে ট্যাটু আকার তুলনায় মার্বেলের মূর্তিতে ট্যাটু অঙ্কন কিছুটা কষ্ট সাধ্য।

যেখানে তোকে উল্কি করতে সময় লাগে ১৫ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিট। সেখানে ফোবিয়ার একটি মার্বেলের মূর্তিতে উল্কি বসানোর কাজ শেষ করতে সময় লাগে প্রায় ৪ দিন। তিনি এই কাজ শিখেছেন কারারা অঞ্চলের বিখ্যাত এক উন্মুক্ত খাদে গিয়ে।

মার্বেল দিয়ে ফাবিও বিয়ালে সৃষ্টি করেন অবাক করা চোখ ধাঁধানো বিভিন্ন জিনিস। যেমন ‘ধন্যবাদ ও আবার দেখা হবে’ কাগজের প্যাকেট। তার কাজ দেখে মনেই হবে না সেগুলি মার্বেলের তৈরী মনে হবে সত্যিকারের মানুষের হাত।

ফোবিওর মূর্তি প্রদর্শন করা গ্যালারির মালিক পিয়েত্রো গালিয়ার্দি এই প্রসঙ্গে বলেন, মার্বেল নিয়ে কাজ করে তিনি যে আনন্দ পান, তা স্পষ্ট টের পাওয়া যায়। তবে তিনি বিশাল কোনো কীর্তির পথে না গিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা ছাড়াই খেলাচ্ছলে সৃষ্টির কাজে মেতে ওঠেন।

ইতালীয় এই শিল্পী প্রতিনিয়ত উল্কির কাজে ঘটিয়ে চলেছেন উন্নতি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় তার শরীরের কোথাও উল্কি নেই। আর তার সবসময়ের চাওয়া হলো সাধারণের মাঝে নতুন কিছু তুলে ধরার।

Back to top button