সকাল সকাল রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর একটি দল।জানা যায় অভিনেত্রীর বাড়ি তল্লাশি চালাতে গিয়েছে এনসিবির এই সার্চ টিম।
সুশান্ত সিং এর মৃত্যুর ঘটনায় মাদক যোগ পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করেছিল এনসিবি । অভিনেতার মৃত্যুর পর অভিযুক্তের তালিকায় বারবার এসেছে সেই রিয়া ,রিয়ার বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করেছিল নারকোটিক্স বিভাগ। সদ্যই মুম্বইয়ের বান্দ্রা থেকে জাইদ ভিলাত্রা নামের বছর ২০-র এক ড্রাগ ডিলারকেও গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সূত্রের খবরএ জানা যায়, রিয়ার ভাই শৌভিক এবং সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জাইদের।
সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় কোনও আর্থিক কাঁদে যোগ রয়েছে কিনা তা দেখতে তদন্তে নেমেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ।তদন্তের সময় আধিকারিকদের হাতে ছিলো বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের অংশ। সেখানে দেখা যায় শ্রুতি মোদীর সঙ্গে মাদক বা ড্রাগ নিয়ে আলোচনা করেছেন রিয়া। এই তালিকায় ছিল রিয়ার ভাই শৌভিক, গোয়ার হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব আর্য এবং সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার নামও। এরপরই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোকে তদন্তে নামার জন্য চিঠি পাঠায় ইডি।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো জানিয়েছে গ্রেফতার হওয়া মাদক পাচারকারী জাইদ ভিলাত্রা-র কাছ থেকে ৯ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। জেরায় জানিয়েছে এই টাকা মাদক বিক্রি করেই সে সংগ্রহ করেছে। জানা গিয়েছে, বান্দ্রায় একটি ছোটখাটো খাবারের দোকান চালায় এই তরুণ। লকডাউনের ফলে এখন ব্যবসায় মন্দা চলছিল,তাই আপাতত ড্রাগ বিক্রিই ছিল তার আয়ের উৎস। সূত্রের খবর, রিয়ার ভাই শৌভিক এবং সুশান্তের বাড়ির ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার সঙ্গে ভিলাত্রার যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল আর এক ড্রাগ ডিলার আবদুল বসিত পরিহার। এই পরিহারকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এনসিবি আধিকারিকরা।