শ্যামনগরে কার্যালয় ভাঙচুর ও দখলের চেষ্টার অভিযোগে বিজেপির বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর :- শ্যামনগর স্টেশন সংলগ্ন সিদ্ধেশ্বরী কালি মন্দিরের বিপরীতে রেললাইনের ধারে কার্যালয় দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মঙ্গলবার মাঝ রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কার্যালয়ের গেরুয়া রঙ মুছে কিছুটা অংশ চুনকাম করে দেয়। এমনকি তালা ভেঙে নথিপত্র ও জিনিসপত্র ওরা লুঠ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ধরে ফেলে। বাকি চারজন চম্পট দেয়। দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার বিকেলে শ্যামনগর স্টেশনের কাছে ঘোষপাড়া রোডের ধারে বেশ কিছুক্ষন বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা।
বিক্ষোভে হাজির ছিলেন ব্যারাকপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক বিনোদ গোন্ড, চিকিৎসা সেলের বিনোদ শর্মা, জগদ্দল-১ প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি অখিলেশ সিং, জিনিয়া চক্রবর্তী, অনিন্দিতা সরকার, সোনালী মুখার্জি, বেবি মল্লিক, তন্দ্রা সরকার, সীমা সরকার-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এদিনের বিক্ষোভকে কেন্দ্র উত্তেজনার সৃষ্টি হলে সেখানে হাজির হয় জগদ্দল থানার পুলিশ। জগদ্দল মন্ডল-২ সভাপতি প্রণব মন্ডলের অভিযোগ, ২০১৫ সালের পর থেকে ছয়বার ওই কার্যালয়টিকে ভাঙচুর করা হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসায় দলীয় কার্যালয়টিতে ভাঙচুর চালিয়ে লুঠপাট করা হয়েছিল। পুরসভা নির্বাচনের জন্য কার্যালয়টিকে মেরামতি করা হয়। ফের দলীয় কার্যালয়টিতে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
প্রণব বাবুর হুঁশিয়ারি, ফের দলীয় কার্যালয় ভাঙা হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবেন। তবে ভাটপাড়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান অরুন বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তৃণমূল এই ধরনের রাজনীতি বিশ্বাস করে না। ওদের নিজেদের কাজিয়ার জেরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।