সাবধনা! আজ বিকেল থেকেই নামতে পারে বৃষ্টি, আগামীকালও চলবে বর্ষণ
বাংলায় শীতের শেষ সময় আসন্ন! আলিপুরের হাওয়া ভবন জানিয়েই দিয়েছে বৃষ্টির সূত্রপাত হতে চলেছে আবারও। গতকাল রাতেই ভারতে ঢুকে আসা আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পূর্বের দিকে পা বাড়িয়েছে। তৈরি হতে চলেছে পূবালি হাওয়া। আর বেশিদিন বাকি নেই। ঝমঝমিয়ে বজ্রবিদ্যুৎ নিয়ে শুরু হবে বৃষ্টিবিপদ বৃহস্পতিবার থেকেই। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির কারণে পারদ পতন কিছুটা হতে পারে। ৯ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বুধবার বিকেল থেকেই আকাশ নিজের মুখ ভার করে ফেলবে। মেঘলা হয়ে যাবে।
কলকাতা সহ সারা দক্ষিণবঙ্গেই হালকা-মাঝারি বৃষ্টির খাঁড়া অব্যাহত থাকবে। সাথে উত্তর-পশ্চিম ভারতও ছাড় পাবেনা। এমনকি এই বৃহস্পতিবারের পর থেকে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, উত্তরাখণ্ডের মতো অঞ্চলগুলিও তুষারপাতের কবলে পড়বে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লির মতো অঞ্চলগুলি বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত দেখবে। এদিকে রাজস্থানে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তটি। বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত বলে অনুমান করা হচ্ছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশাতেও।
বুধবারের আবহাওয়া:
সকাল থেকেই কুয়াশার সাথে সোহাগী হয়েছে বাংলার মেট্রোপলিস। অবশ্য মৌসম ভবনের কথা মত ধীরে ধীরে সে কুয়াশা সরিয়ে পরিষ্কার আকাশ উঁকি দিচ্ছে। মোটামুটি রৌদ্রজ্জ্বল প্রকৃতি। পশ্চিম ভারতে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত আপাতত অক্ষের আকারে ঘুরে চলেছে বাংলার উপর। তাই তাপমাত্রা কিন্তু ২৪ ঘন্টায় বেশ ভালো মতোই বেড়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে এদিকে আপেক্ষিক আদ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রায় ৯৪ শতাংশ।
পূবালি হাওয়া এখন উত্তুরে হাওয়ার পথের কাঁটা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং পূবালি হাওয়ার যুগ্ম প্রভাব পড়বে বুধবার রাত থেকেই। বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২ দিন রাতের তাপমাত্রা ২-৩° সেলসিয়াস বাড়লেও বৃহস্পতিবারের পর থেকে আবারও হবে পারদ পতন। সাথে আবার ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকবে দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলা। সাথে চার পাঁচ দিন বৃষ্টিও হবে এখানে। বুধ থেকে বৃহস্পতিবার বৃষ্টি বাড়ার সাথে সাথে তুষারপাত অথবা গ্রাউন্ড ফ্রস্ট হতে পারে সান্দাকফু, ধোত্রে, ফালুট, চটকপুরেও।