রাজ্য

বগটুই কান্ড নতুন কয়েকটি তথ্য খুঁজে পেল সিবিআই

এককথায় রামপুরহাটের বগটুই কান্ড নিয়ে বিশেষ কয়েকটি নতুন তথ্য সামনে এসেছে। এই বগটুই কান্ড নিয়ে বাংলার রাজ্য রাজনীতি এখনো সরগরম। কোনোভাবেই কোনোকিছুর প্রতি স্থিত হতে পারছে না কেন্দ্রীয় সংস্হা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে সিবিআই। তারা ইতিমধ্যেই নতুন কয়েকটি তথ্য খুঁজে পেয়েছে যার মধ্যে একটি হলো, গ্রামে অগ্নি সংযোগের জন্য টোটো ভর্তি করে এবং বাইক ভর্তি করে আনা হয়েছিল দাহ্য পদার্থ।

স্বজনহারাদের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই সেই ধরনের তথ্য পেয়েছে সিবিআই। তাই ইতিমধ্যেই সেই কয়েকটি বাইক ও টোটোকে আটক করা হয়েছে। তাছাড়া ভাদু শেখের হত্যা নিয়ে অভিযুক্ত পলাশ শেখের বাড়িতে বোমা মজুতের সন্দেহে তল্লাশি পর্যন্ত চালানো হয়েছে। এদিকে আবার রামপুরহাটে নতুন আইসি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে দেবাশিষ চক্রবর্তী। সবমিলিয়ে একেবারে সরগরম রামপুরহাট। কোনোভাবেই কোনোরকম ফাঁক ফোকর রাখতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সংস্হা।

গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী সহ স্বজনহারাদের কাছ থেকে জানা যায় , দাদু শেখ এর খুনের প্রতিশোধে রামপুরহাট থেকে জার ভর্তি করে নিয়ে আসা হয় পেট্রোল। আর সে গুলো বাইক আর প্রকৃত কুড়িগ্রামে নিয়ে আসা হয় বলে জানা যায়। মোট ৩ টি টোটো ও ১ টি বাইকে করে দাহ্য পদার্থ নিয়ে আসা হয় বলে জানায় গ্রামের মানুষ। তারপর সেই হিসেবেই কুমাড্ডা গ্রামে তিনটি টোটো একটি বাইকের সন্ধান পেল সিবিআই।

গ্রামের মানুষের সূত্রে জানা যায়, এই টোটোগুলো বিভিন্ন কাজে লাগতো, একটিতে ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করতো। আরেকটিতে ফল বিক্রি করা হতো ও একটিতে যাত্রী নিয়ে যাওয়া হত। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থেকে। ইতিমধ্যে সিবিআই টোটোর নম্বর নথিভূক্ত করে নিয়ে যান। কিন্তু আবার গ্রামের অন্য প্রান্তে এসে সিবিআই জানতে পারে, বোমা মেরে আগুন ধরানো হয়েছিল। তাহলে এখন প্রশ্ন উঠছে বোমা মেরে? না দাহ্য পদার্থ দিয়ে আগুন ধরানো হয়েছিল? এই কারণে আবার চলছে বোমের সন্ধানে তল্লাশি।

Back to top button