পশ্চিমবঙ্গে আকাশছোঁয়া ফলের দাম, রোজাপালন কারীরা
শুরু হয়েছে রমজান মাস। সারা বিশ্বের মতো কলকাতার মুসলিম ধর্মাবলম্বীরাও যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যে পালন করছেন পবিত্র এ মাস। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির আশায় রাখছেন রোজা। এ মাসে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থেকে সন্ধ্যায় অনেকেই ফলমূল দিয়ে ইফতার করেন, যা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। কিন্তু রমজান আসতেই হঠাৎ করে বেড়ে গেছে সব ধরনের ফলের দাম। তাতে ইফতারের জন্য ফল কিনতে গিয়ে মাথায় হাত সাধারণ মানুষের।
গত সপ্তাহেও কলকাতার বাজারে দেশি আপেলের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১৭০ টাকা, যা এখন ২২০ টাকাতে দাঁড়িয়েছে। নিউজিল্যান্ডের আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা ও চীনা আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা প্রতি কেজি।
রমজান মাসে ফলের দামে আগুন লাগার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজারে দাম বাড়াকে দায়ী করেছেন। তাদের বক্তব্য, আপেলের প্রতি পেটিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দাম বেড়েছে। তাই পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা দোকানদাররাও দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় একেকটি আনারস বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকাতে। গত সপ্তাহে যে মর্তমান কলা বিক্রি হচ্ছিল ছয় টাকাতে, রোজা শুরু হতেই তার দাম বেড়ে ১০ টাকাতে পৌঁছেছে। তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
আঙ্গুর থেকে শুরু করে বেদানা, পাকা পেঁপে, মোসাম্বি লেবু, কমলালেবু এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ফলেরই দাম বাড়তে দেখা গেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে দাম বেড়েছে ইফতারের অন্যতম আইটেম শসারও। গত সপ্তাহে যে শসা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছিল ৩০ টাকাতে, এ সপ্তাহে তার দাম দ্বিগুণ বেড়ে ৬০ টাকাতে পৌঁছেছে।
বাজারে ফল কিনতে আসা অনেকেই এমন অবস্থার জন্য জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন। গত ১০ দিনে পশ্চিমবঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে নয়বার। এর সুবিধা নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লোটার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এসবের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই।