খেলানিউজ

SPORTS: শ্রেয়স না শুভমান, কে দোষী ? বিতর্কিত রান-আউট নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ক্রিকেট ময়দানে

ক্রিকেটে দলের সাফল্যের জন্য যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যখন প্রতিটি রানই কাজে লাগে, তখন যোগাযোগ আরও জরুরি হয়ে ওঠে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মোহালিতে প্রথম একদিনের ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেট দলের দুই ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ার এবং শুভমান গিল এর মধ্যে যোগাযোগের অভাবে শ্রেয়স আইয়ার রান আউট হন।

ভারতীয় ইনিংসের ২৫ ওভারের মাথায় এই দৃশ্যটি দেখা যায়। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এবং শুভমান গিল এর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের ফলে ভারতীয় দল তখন ভালো অবস্থানে ছিল। শ্রেয়স আইয়ার চতুর্থ বলটি এক্সট্রা কভারের দিকে ঠেলে দিয়ে একটি রান চুরি করার চেষ্টা করেন। বলটি ব্যাটে লাগিয়েই শ্রেয়স দৌড়তে শুরু করেন।

অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা শুভমান গিলও শ্রেয়সের ডাকে সাড়া দিয়ে নন-স্ট্রাইকার এন্ড ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু, শ্রেয়স যখন প্রায় অর্ধেক রাস্তা পৌঁছে যায়, ঠিক তখনই শুভমান তাঁকে আবার ফিরে যাওয়ার ইশারা করেন। কিন্তু, ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল। শ্রেয়স ক্রিজে ফেরত আসার আগেই ক্যামেরন গ্রিনের একটি দুর্দান্ত থ্রো উইকেটে সজোরে আঘাত করে। শ্রেয়স আউট হওয়ার পর রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েন।

এই ঘটনার পর ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়ে যায় যে এক্ষেত্রে ভুলটা আসলে কার ছিল, শ্রেয়স নাকি শুভমানের?

অমিত মিশ্রা এবং সুরেশ রায়না এই ‘বিতর্কিত’ রান-আউটের সময়ে কমেন্ট্রি বক্সে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মতে, শ্রেয়সের এতটা ঝুঁকিপূর্ণ রান নেওয়া উচিত হয়নি। অমিত মিশ্রা বললেন যে, শ্রেয়স খুব তাড়াতাড়িই দৌড়তে শুরু করেন। শুভমান গিল এই রানটা নিতে চাইছেন কি না, সেটুকুও দেখার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। অন্যদিকে সুরেশ রায়নাও বললেন যে, শ্রেয়সের এতটাও ঝুঁকি নিয়ে রানটা নেওয়ার কোনও প্রয়োজন ছিল না। পাশাপাশি তিনি একথাও স্বীকার করেন, নন স্ট্রাইকার এন্ডে দাঁড়িয়ে থাকা শুভমান গিলেরও সঠিক যোগাযোগ করা খুব দরকার ছিল।

এই ঘটনাটি থেকে বোঝা যায় যে, ক্রিকেটে যোগাযোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটসম্যানদের অবশ্যই একে অপরের সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ করতে হবে এবং কোনও রান নেওয়ার আগে একে অপরের সাথে সমন্বয় করতে হবে।

Back to top button