দেশ

বারাসাতে ২ দশকের বেশি বামেদের দখলে থাকা তিনটি ওয়ার্ড তৃণমূলের

দুই দশকের বেশি বামেদের দখলে থাকা বারাসাতের তিনটি ওয়ার্ডে এবার ঘাসফুল ফুটল। একের পর এক নির্বাচনে শহর তথা রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের আনন্দের মধ্যে কাঁটা হয়ে বিঁধত এই তিনটি ওয়ার্ড। বুধবার তিনটি ওয়ার্ডে জয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়া মাত্রই আনন্দে ফেটে পড়েন সাধারণ তৃণমূল কর্মীরা। সবুজ আবির উড়িয়ে মেতে ওঠেন খেলা হবে গানের তালে। উৎফুল্ল তৃণমূল নেতারা বলছেন, এই তিনটি ওয়ার্ডে জয় সকলকে অন্যরকম তৃপ্তি দিয়েছে। যদিও সিপিএমের দাবি, মানুষ ভোট দিতে পারলে ওই তিনটি ওয়ার্ড বামেদের হাতেই থাকত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসাত পুরসভার ১৩ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৯৯৮ সাল থেকে কোনওদিন জয় পায়নি তৃণমূল। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ২০০০ সালে তৃণমূল প্রার্থী জিতেছিলেন। কিন্তু তারপর আর জয়ের মুখ দেখেনি তারা। বাম ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই দুই ওয়ার্ড এতদিন শাসকদলের কাছে দুর্ভেদ্য ছিল। অসাধ্য সাধনে মরিয়া তৃণমূল এবার ১৩ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বারাসাতের দুই জনপ্রিয় ও সমাজসেবী চিকিৎসককে প্রার্থী করে দারুন চাল দিয়েছিল। ভোট প্রচারে দুই চিকিৎসক রোগী দেখতে দেখতে সাধারণ মানুষের রান্না ঘরেও ঢুকে পড়েছিলেন। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন, অন্যদিকে চিকিৎসক হিসেবে তাঁদের জনপ্রিয়তায় ভর করে এবার এই দুই ওয়ার্ডে ঘাসফুল ফোটাতে পেরেছে শাসকদল। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী সুমিত সাহা ১ হাজার ৩২২ ভোটে ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী বিবর্তন সাহা ২ হাজার ১৪ ভোটে জয়লাভ করেছেন। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী দেবব্রত পাল ৫৯৫ ভোটে জিতেছেন।

এদিন গননা কেন্দ্রের বাইরে সবুজ আবিরে মাখামাখি দুই চিকিৎসক বলেন, মানুষের ভরসার দাম দিতে হবে। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে এই দুই ওয়ার্ডে আমরা জিততে পারিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন ও তাঁর ছবিকে হাতিয়ার করে এবার আমরা জিতেছি। কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এবার এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ওয়ার্ডের প্রত্যেক মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়াই এখন আমাদের লক্ষ্য।

Back to top button