মঞ্চে বসে আছেন বিজেপি বিধায়ক। মূর্তি উদ্বোধন করার অপেক্ষায় আছেন তিনি। মঞ্চের সামনে কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত। হঠাৎ করেই বিজেপি বিধায়কের সামনে এক বৃদ্ধের আগমন ঘটে।
বিধায়ক ভেবেছিলেন তাকে কিছু বলার জন্য বৃদ্ধ মঞ্চে এসেছেন। এজন্য বিধায়ক উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। ওই সময় বৃদ্ধ সপাটে একটা ‘চড়’ মেরে দেন তার গালে!
জনসম্মুখে আচমকা এমন ঘটনায় অপ্রস্তুত হয়ে যান বিধায়ক। অস্বস্তিতে পড়েন আয়োজকরাও। তড়িঘড়ি করে কয়েক জন মঞ্চে উঠে আসেন। বৃদ্ধকে জোর করে মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিয়ে যান তারা।
ওই ঘটনার ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিওকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমেছে বিরোধীরা। ভোটের আগে সরগরম হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি।
জানা গেছে, ঘটনাটি দিন তিনেক আগের। উন্নাওয়ের বিজেপি বিধায়ক পঙ্কজ গুপ্ত তার বিধানসভা কেন্দ্রে একটি মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানেই এমন কাণ্ড ঘটে।
ওই বৃদ্ধ একজন কৃষক। কিন্তু কেন তিনি বিধায়কের গালে কষে চড় মেরেছেন, সেই রহস্যের সমাধান এখনো হয়নি। কারও প্ররোচনায় এ কাজ করেছেন কি না, সে বিষয়েও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেছেন, কৃষক নেতা বিজেপি বিধায়কের গালে চড় মেরেছেন। এটা আসলে ওই বিধায়কের গালে নয়, চড়টা পড়েছে বিজেপি পরিচালিত যোগি আদিত্যনাথের ব্যর্থ প্রশাসনের গালে। তার সরকারের নীতি এবং একনায়কতন্ত্রের গালে।
আত্মপক্ষ সমর্থনে ওই বৃদ্ধকেই পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন বিধায়ক পঙ্কজ গুপ্ত। সেখানে বিজেপি বিধায়ক দাবি করেছেন, বিরোধীরা যেটাকে চড় বলে প্রমাণ করতে চাইছেন, তা একেবারেই রাজনৈতিক স্বার্থে করা হচ্ছে।
বিধায়কের দাবি, বিরোধীরা প্রমাণ করতে চাইছে যে- কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। ওই বৃদ্ধ আমার বাবার মতো। এর আগেও এভাবে আমার গাল চাপড়ে আদর করে দিয়েছেন স্নেহের বশে।
বিধায়ক না হয় এটাকে ‘গাল চাপড়ে আদর করা’ বলে দাবি করেছেন। কিন্তু বৃদ্ধ কী বললেন? সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, আপনি তো দাবি করছেন ওটা একটা স্নেহের নিদর্শন। কিন্তু এই ঘটনার মাধ্যমে রাজ্যের মানুষের কাছে ভুল বার্তা গেল না?
তখন বৃদ্ধ বলেন, আমি বিধায়ককে মারিনি। তার কাছে গিয়ে কিছু কথা বলেছিলাম।
সূত্র: আনন্দবাজার।