দেশ

ঋণশোধের ওপরে দেওয়া হতে পারে দু’বছর ছাড় জানালো কেন্দ্র

‘লোন এ পেতে পারেন দু’বছর পর্যন্ত ছাড় । অর্থাৎ যাঁরা বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের আগামী দু’বছর ছাড় দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। লকডাউন এর জন্য অনেক ব্যবসারই হাল খারাপ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের ঋণশোধ করার জন্য বাড়তি সময় দেওয়া হবে আশা করা হচ্ছে, এর ফলে তারা আবার নিজের ব্যবসা দ্বারা করতে পারবে।

আসল কথা হলো সরকার কি অন্তত দু’বছরের মোরেটরিয়াম পিরিয়ডেও কি সুদে ছাড় দেবে? কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে এসম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে এদিন শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে অনুমতি দিক যাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে সুদ মকুবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

সলিসিটর জেনারেল বলেন, জিডিপি কমেছে ২৩ শতাংশের বেশি। অর্থনীতি এখন ব্যাপক চাপে আছে। সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি নিয়ে ফের শুনানি হবে বুধবার। কারণ এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান জানিয়ে কোনও হলফনামা বিচারপতিদের কাছে পৌঁছায়নি।

গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চায়, সুদ মকুবের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। বিচারপতিরা মন্তব্য করেন, কেন্দ্র আরবিআইয়ের পিছনে লুকোতে পারবে না।

দেশের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কে ভি সুব্রমনিয়ম সোমবার আশ্বাস দিয়েছেন, অর্থনীতির বিকাশ তলানিতে পৌঁছানোর পরে ফের ঘুর দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে। রেলে বেড়েছে পণ্য পরিবহণ।

তাঁর কথায়, “একসময় কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছিল। আমরা জানতাম বিকাশের হার কমবে। কিন্তু আশার কথা হল, অর্থনীতির ফের ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা দিয়েছে।” এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রেলে কী পরিমাণে পণ্য পরিবহণ করা হচ্ছে, তা থেকে আন্দাজ করা যায় অর্থনীতির হাল কেমন। বর্তমানে রেলে পণ্য পরিবহণের পরিমাণ গত বছর জুলাই মাসের ৯৫ শতাংশ। গত বছর অগাস্টের তুলনায় এবছর অগাস্টের প্রথম ২৬ দিনে পণ্য পরিবহণ হয়েছে ছয় শতাংশ বেশি। বিদ্যুতের চাহিদাও গত বছরের তুলনায় মাত্র ১.৯ শতাংশ কম।

অপর একটি তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে প্রধান সেক্টরগুলিতে সংকোচনের হার ক্রমশ কমছে। পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে যে আটটি কোর সেক্টর রয়েছে, তাদের উৎপাদন এপ্রিলে কমেছিল ৩৮ শতাংশ। মে মাসে কমেছিল ২২ শতাংশ। জুন মাসে কমেছিল ১৩ শতাংশ। জুলাই মাসে কমেছিল ৯.৬ শতাংশ।

Back to top button