কেকের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় সংগীত জগত্। জল্প[না সত্যি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা করলেন বড় ঘোষণা।বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক কেকে কে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন তিনি গান স্যালুটের মাধ্যমে ।
সেই কারণেই তিনি বাঁকুড়ার জনসভা দ্রুত শেষ করে দেন তিনি ও অন্ডাল থেকে বিশেষ বিমানে কলকাতার উদ্যেশে রওনা দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন পূর্ন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কেকে কে শ্রদ্ধা জানানো হবে। সেই সাথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা আরও জানিয়েছেন যে তার সাথে কেকের স্ত্রীর কথা হয়েছে। প্রয়াত গায়ককে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ইয়ুথ আইকন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৮ সালের ২৩ আগস্ট কেকের জন্ম দিল্লিতে এক হিন্দু মালয়ালি পরিবারে। বেড়ে ওঠেন নয়া দিল্লিতে। পড়াশোনা করেন দিল্লির মাউন্ট সেন্ট ম্যারিস স্কুলে। এরপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কিরোরি মাল কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর আট মাস একটি হোটেলের বিপণন নির্বাহী হিসেবে কাজ করেন কেকে।
কয়েক বছর পর, ১৯৯৪ সালে মুম্বাইয়ে পাড়ি জমান কেকে। বলিউডে নেপথ্য সংগীতশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরুর আগে তিনি প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে কণ্ঠ দেন। ১৯৯৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত দলের সমর্থনে ‘জোশ অব ইন্ডিয়া’ গানে কণ্ঠ দেন কেকে। গানটির ভিডিওতে ক্রিকেট দলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা যায় তাকে।
কেকে সংগীতশিল্পী কিশোর কুমার ও সংগীত পরিচালক রাহুল দেব বর্মণের দ্বারা প্রভাবিত। তার প্রিয় আন্তর্জাতিক সংগীতশিল্পী হলেন মাইকেল জ্যাকসন, বিলি জোয়েল, ব্রায়ান অ্যাডামস। কেকে কখনো সংগীতের প্রাতিষ্ঠানিক তালিম গ্রহণ করেননি। তবে তার কণ্ঠ থেকে বেরিয়েছে শ্রোতাপ্রিয় বহু গান। তিনি প্রথম সিনেমার গানে কণ্ঠ দেন ১৯৯৯ সালে বিখ্যাত সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের সংগীতে।
ক্যারিয়ারে শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে সাতটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়নসহ একাধিক পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন কেকে। পাশাপাশি দুটি স্ক্রিন পুরস্কার অর্জন করেছেন। এছাড়া সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি থেকেও সেরা গায়ক হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন কেকে।
সব ছেড়ে মঙ্গলবার এই গায়ক চলে গেছেন না ফেরার দেশে। এদিন কলকাতার নজরুল মঞ্চে লাইভ শোতে অংশ নেন তিনি। এরপর ফিরে যান হোটেলে। সেখানে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত তখন ৯টা। হাসপাতালে নিলে চিকিত্সকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিত্সকদের ধারণা, হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে গায়কের।