করমণ্ডল এক্সপ্রেস: ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৩০০ ছুঁইছুঁই, আহত হয়েছেন অন্তত ৮৫০ জন যাত্রী
উড়িষ্যায় তিনটি ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনশ’র কাছাকাছি পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮৫০ জন যাত্রী। শনিবার (৩ জুন) রাজ্য সরকারের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপি’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বিগত দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে ভারতে এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা।
উড়িষ্যার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা টুইটারে বলেছেন, দুই শতাধিক অ্যাম্বুলেন্স ও ১০০’র বেশি চিকিৎসককে দুর্ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছে। এরই মধ্যে সেখানে ৮০ জনের বেশি চিকিৎসক ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।
ভারতীয় রেলওয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কলকাতাগামী হাই-স্পিড বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাহাঙ্গা বাজার এলাকায় লাইনচ্যুত হয়েছে। কুমন্ডেল চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঐ এলাকা পেরিয়ে যাওয়ার সময় লাইনচ্যুত ট্রেনের বগির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। করমন্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি ঘটনাস্থলে একটি মালবাহী ট্রেনের বগির ওপরও আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই মারাত্মক ছিল যে করমন্ডল এক্সপ্রেসের ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার উড়িষ্যার বলেশ্বর জেলার বাহাঙ্গা বাজার এলাকায়। তিনটি ট্রেন এই দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল:শালিমার থেকে চেন্নাইগামী সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়াগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালবাহী ট্রেন
কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সিগন্যালের অপেক্ষায় থাকা মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এবং সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস আগেই ওই এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছিল। সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুতির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা তা কর্মকর্তারা এখনও নির্ধারণ করতে পারেননি।
সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, শুক্রবারের দুর্ঘটনাটি 1947 সালে স্বাধীনতার পর ভারতের সবচেয়ে খারাপ এবং মারাত্মক দুর্ঘটনা ।