আন্তর্জাতিক

ইউটিউব দেখে তান্দুরি চা বানানো শিখে, যুবকের ভাগ্যবদল, উপার্জন করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা

ভারতের বিখ্যাত তন্দুরি চা সাড়া ফেলেছে মাদারীপুরে। ইউটিউব থেকে তন্দুরি চা তৈরি কৌশল শেখেন যুবক মো. আলতাফ মাহমুদ। এখন তার তৈরি সেই চায়ের স্বাদ নিতে সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নে আসেন জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ আশেপাশের জেলা থেকে চা প্রেমীরা।

তন্দুরি চা আলতাফের ভাগ্য বদলে দিয়েছে, এসেছে নতুন পরিচিতি।

মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের দত্তেরহাট গ্রামের যুবক মো. আলতাফ মাহমুদ। আর্থিক সংকটে লেখাপড়া খুব বেশি করা হয়নি। পরিবারের চাহিদা মেটাতে স্থানীয় পেয়ারপুর বাজারে বাবা তোফাজ্জেল ফকিরের ছোট্ট চায়ের দোকানে বাবার সাথে কাজ করতেন।
ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব দেখে তন্দুরি চা তৈরির কৌশল রপ্ত করেন তিনি। প্রায় এক বছর আগে বাবার ছোট্ট চায়ের দোকানেই শুরু করেন সেই চা তৈরি। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তন্দুরি চা’র বদৌলতে সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা।

গরুর দুধের সর, কাজু বাদাম, ওভালটিন, টেরাবিকা, চকলেটসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি গরম চা মাটির তৈরি ছোট্ট হাঁড়িতে ঢেলে পরিবেশন করেন আলতাফ। পোড়া মাটির গন্ধে ভরপুর এই সুস্বাদু চা পান করতে দোকানে ভীড় লেগেই থাকে। প্রতিদিনই মাদারীপুর শহর ছাড়াও আশেপাশের জেলা থেকে থেকে মানুষ ছুটে আসে আলতাফের তন্দুরি চা পান করতে।

প্রতি কাপ তন্দুরি চা ৩০ টাকা, চকলেট তন্দুরি ৫০ টাকা, কফি তন্দুরি ৫০ টাকা, কফি রেগুলার ৩০ টাকা, চকলেট চা ৩০ টাকা, মালাই চা ২০ টাকা, দুধ চা ১০ টাকা ও গ্রীন টি প্রতি কাপ ১০ টাকায় বিক্রি করেন আলতাফ। প্রতিদিন ৬/৭ হাজার টাকার তন্দুরি চা বিক্রি হয়। শুক্রবারসহ ছুটির দিনে বিক্রি বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১০/১১ হাজার টাকায়।

মো. আলতাফ হোসেন জানায়, ইউটিউব এবং নিজের প্রচেষ্টায় তন্দুরি চায়ের দোকান দিয়ে তিনি বেশ ভালোভাবে দিন যাপন করছেন। মাটির পেয়ালায় ভিন্নধর্মী এক নতুনত্ব স্বাদ পাওয়া যায় তন্দুরি চায়ে। আলতাফের তন্দুরি চায়ে বিমোহিত চা প্রেমীরা।

আলতাফের তন্দুরি চা’কে কেন্দ্র করে জমজমাট স্থানীয় পেয়ারপুর বাজার। এই তন্দুরি চা পেয়ারপুরের ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে বলে জানায় চা প্রেমীরা। ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য বদলানো সম্ভব তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত চা বিক্রেতা আলতাফ হোসেন।

Back to top button