আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনে কেন সেনা পাঠাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র, জেনেনিন সেই আসল কারণ

ইউক্রেনে বিনা-উসকানিতে রাশিয়ার আক্রমণের ঘটনায় পশ্চিমা শক্তিগুলো তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তবে, ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর লক্ষণরেখাটি অতিক্রম করতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা। আর, ইউক্রেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো’র সদস্যও নয়।

জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড স্থানীয় সময় রোববার সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, জো বাইডেন প্রশাসন ‘স্পষ্ট জানিয়েছে’ ইউক্রেনের ‘মাটিতে’ মার্কিন সেনাদের ‘বুটে ছাপ পড়বে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ কী

বিশ্বযুদ্ধ বেধে যেতে পারে : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ মাসের শুরুতে এনবিসি নিউজকে বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়া একে অপরের দিকে গুলি করা শুরু করলে বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।’

সিএনএনের জাতীয় নিরাপত্তা ও সামরিক বিশ্লেষক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মার্ক হার্টলিং রোববার বলেন—ইউক্রেনে রুশ হামলা প্রচণ্ড ধ্বংসাত্মক হলেও, ‘এখনও এটি আঞ্চলিক সংঘাত।’ সেখানে যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটো সেনা পাঠালে, তা বহুজাতিক সংঘাতে পরিণত হতে পারে।

ইউরোপে থাকা মার্কিন সেনাদের কী হবে?

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বাইডেন বলছিলেন—ইউরোপজুড়ে হাজার হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। তবে, তাঁরা সেখানে রাশিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য নয়, ন্যাটো মিত্রদের সুরক্ষার জন্য রয়েছেন।

কখন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে জড়াতে পারে?

ন্যাটো সদস্য দেশ পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি ও রোমানিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সীমান্ত রয়েছে। যদি রাশিয়া এ দেশগুলোর কোনো একটিকে হুমকি দেয়, তাহলে আটলান্টিক চুক্তির অনুচ্ছেদ-পাঁচ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ বাকি ৩০-সদস্যের ন্যাটো জোটকে এর প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে।

এরপর কী হতে যাচ্ছে?

রাশিয়ার জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, তেমন পদক্ষেপ না নেওয়া সিদ্ধান্ত এখনও যুক্তরাষ্ট্র নেয়নি। অতীতে কখনও রাশিয়াকে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়নি।

‘রাশিয়া আগ্রাসী হচ্ছে, আমরাও সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছি। তাই, আরও অনেক কিছুই আসন্ন’, যোগ করেন লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড।

এরই মধ্যে মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তারা রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। রাশিয়ার মতো এত বড় অর্থনীতির ওপর এমন পদক্ষেপ হবে নজিরবিহীন। কবে আসবে সে ঘোষণা, তার সুনির্দিষ্ট দিন-ক্ষণ জানাননি টমাস-গ্রিনফিল্ড। তবে বলেছেন, ‘খুব, খুব দ্রুত এমনটা ঘটতে যাচ্ছে।’

সিএনএনের সাংবাদিক ফিল ম্যাটিংলি বলছেন—রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি এখনও আলোচনাধীন। আর, সত্যিই যদি এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা কর্মকর্তাদের ধারণার চেয়েও বেশি প্রভাব ফেলতে পারে।

Back to top button