পশ্চিমাদের সঙ্গে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতার সুযোগ নিচ্ছে চীন-রাশিয়া
মিয়ানমারে সামরিক বহিনী ক্ষমতা দখল করেছে প্রায় এক বছর হতে চললো। এর মধ্যে দেশটির সঙ্গে পশ্চিমাদের শুধু দূরত্বই বেড়েছে, আর তার সুযোগ নিচ্ছে চীন ও রাশিয়া। গত ২৪ ডিসেম্বর চীনা নৌবাহিনী মিয়ারমারকে একটি পুরোনো সাবমেরিন দিয়েছে পুরোপুরি বিনামূল্যে। এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোদ জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং।
এছাড়া, মিয়ানমারের সমুদ্রতীরবর্তী শহর কিয়াওপিউয়ে বিশাল বন্দর বানাচ্ছে চীনা কোম্পানি। এ প্রকল্পে চীন পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহে একটি পাইপলাইনের কাজও রয়েছে। চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের মাধ্যমে চীনের ইউনান প্রদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের কিয়াওপিউ শহরকে সরাসরি যুক্ত করা হবে।
শুধু চীন নয়, পশ্চিমাদের সঙ্গে দূরত্বের সুযোগে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে রাশিয়াও। গত মার্চে মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে একমাত্র বিদেশি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সান্দার ফোমিন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এরপরও মিয়ানমারে নিয়মিত যাওয়া-আসা করেছেন। ওই বছরের জুনে জান্তা প্রধান মিন অং হ্লেইং প্রায় এক সপ্তাহের জন্য রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে মিয়ানমারের এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা বলেন, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যদি আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে, তাহলে আর কোনো সমস্যাই হবে না।