ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি এবার নিশানায়! নিয়োগ করা হলো ভাড়াটে বাহিনী
বর্তমান সময়ে চলছে রাশিয়া-ইউইক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ। তারই সাথে চারপাশেই শুধু ধ্বংসস্তুপ, আতঙ্কে রয়েছে ইউক্রেন বাসীরা। তবে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির ডাকে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে অসংখ নাগরিকরা। তারা তাদের প্রানপন লড়াই চলাচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির আমেরিকার পালিয়ে যাওয়ার শুনে দেশ থেকে না পালিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। ঠিক এই কারণেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার অগ্রসরের পথে সবচেয়ে বড় বাধা।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে একবার সরিয়ে ফেলতে পারলে, ইউক্রেনবাসীর মনোবল ভেঙে যাবে তবেই কিয়েভ দখল সহজ হবে। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন জ়েলেনস্কি এই আশঙ্কাকেই আরও বেশি করে জোরালো করল। ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে যে, বিশেষ প্রশিক্ষিত ৪০০ জন রাশিয়ান ভাড়াটে বাহিনীকে আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগ খোদ রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘ওয়াগনার গ্রুপ’-কে জ়েলেনস্কিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি আরও ২৩ জন আধিকারিকেও খতম করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এমনটাই দাবি করেছে ওই প্রতিবেদন।
ওই প্রতিবেদনে এটাও বলা হয়েছে যে, এই বিশেষ বাহিনী কোনও সরকারি সংগঠনের না হলেও রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এরা মূলত ভাড়াতে সৈন্য হিসেবেই কাজ করে। ওয়াগনার গ্রুপকে পুতিন ঘনিষ্ঠ অলিগার্চ ইয়েভজেনি প্রিগোজিন নিয়ন্ত্রণ করে। পাঁচ সপ্তাহ আগে বড় অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে তাদের নিয়ে আসা হয়েছে। অত্যন্ত উচ্চমানের প্রশিক্ষিত এই বিশেষ বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং সবুজ সঙ্কেতের জন্য অপেক্ষা করার অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের খতম তালিকায় জ়েলেনস্কির পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী, সম্পূর্ণ মন্ত্রিসভা, কিয়েভের মেয়র কিভ ভিটালি ক্লিটসকোও রয়েছেন।