আন্তর্জাতিক

তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সম্ভাবনা আরো প্রবল, জরুরি অবস্থা জারির পরামর্শ ইউক্রেনে

ইউক্রেনের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিল দেশটিতে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারির আহ্বান জানিয়েছে। বুধবার তাঁরা দেশটির পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল লুহানস্ক ও দনেৎস্ক বাদে সারা দেশেই জরুরি অবস্থা ঘোষণার আহ্বান জানায়। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

লুহানস্ক ও দনেৎস্কে ২০১৪ সাল থেকেই জরুরি অবস্থা জারি করা আছে। তবে দেশটির অন্য অংশে জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার আগে তা দেশটির সংসদে পাস হতে হবে।

প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে, এই জরুরি অবস্থা ৩০ দিন স্থায়ী হবে। জরুরি অবস্থার আওতায় যানচলাচল নিয়ন্ত্রণসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া নাগরিকদের চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে রাশিয়ার ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করতে তাঁর মিত্র দেশগুলো প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

তবে এই আহ্বানের আগেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশ রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ করেছে। এ এমনকি পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানান।

বাইডেন বলেন, ‘যদি রাশিয়া আরও এগিয়ে যায়, আমরা আরও নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত আছি। প্রতিবেশীদের ভূখণ্ডে নতুন তথাকথিত দেশ ঘোষণা করার অধিকার দিয়েছে কে? এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।’

বাইডেন জানান, নিষেধাজ্ঞাগুলো মধ্যে রাশিয়ার সার্বভৌম ঋণের পাশাপাশি দুটি বড় রাশিয়ান আর্থিক প্রতিষ্ঠান পড়বে।

বাইডেন বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার অভিজাত ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব। তারা ক্রেমলিন নীতির দুর্নীতির অংশগুলো ভাগ করে নেয়। তাই তাদের বেদনারও অংশীদার হওয়া উচিত।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, নর্ড স্ট্রিম ২ গ্যাস পাইপলাইনটি যেন আর সামনে না এগোয়, সেটি নিশ্চিত করতে জার্মানির সঙ্গে কাজ করবেন তিনি। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া যদি আগ্রাসন অব্যাহত রাখে তাহলে দেশটিকে এর চেয়েও কঠোর মূল্য দিতে হবে।

এ দিকে, ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে রাশিয়া আন্তরিক সংলাপের জন্য উন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি পশ্চিমাদের উদ্দেশ্য করে একটি ভিডিও বার্তায় এমনটি বলেন। ভিডিওতে রাশিয়ান সেনাদের প্রশংসা করে পুতিন বলেন, ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম যে সেনারা দেশের জাতীয় স্বার্থে দাঁড়াবে।’

রাশিয়ার সেনারা এখনো ইউক্রেন সীমান্তের কাছেই রয়েছে। বেসরকারি মার্কিন কোম্পানি স্যাটেলাইট ম্যাক্সার টেকনোলজিসের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা যায় রাশিয়া নতুন করে ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে।

Back to top button