আন্তর্জাতিক

শালিক পাখি অবিকল কথা বলছে টিয়ার মতো, মেলায় ৩ শালিক কে দেখতে অগণিত লোকের ভিড়

যুক্ত বর্ণ ছাড়া উচ্চারণে সহজ এমন বাংলা আধোভাবে বলছে মিঠু। তার আধো উচ্চারণে কণ্ঠ থেকে বের হচ্ছে মা, বাবা, ভাই, আপা, মেহমান, সালামও দিতে পারে। মানুষের কথোপকথন থেকেই এসব উচ্চারণ শিখেছে এক প্রজাতির শালিক। যাকে স্থানীয় ভাষায় ঝুটি শালিক বলা হয়।

বাংলাদেশের ঝালকাঠির রাজাপুরে এমনভাবে উচ্চারণ করতে পারা তিনটি শালিককে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় পৃথকভাবে স্টলে রাখা হয়।
রাজাপুর উপজেলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এ প্রদর্শনী চলে। এতে বিভিন্ন প্রজাতির ষাড়, গাভি, ছাগল, পাখি, ঘোড়াসহ অনেক জাতের গৃহপালিত পশু-পাখি প্রদর্শন করা হয়।

মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জিয়া হায়দার কান লিটন, আফরোজা আক্তার লাইজু।

শালিক নিয়ে আসা তিনজনেই মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী। রাজাপুর পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও বাগড়ি গাজী বাড়ির গোলাম কিবরিয়া গাজীর ছেলে জিসান গাজী বলেন, দেড় বছর আগে উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের মোল্লারহাট এলাকায় নানা বাড়িতে বেড়াতে গেলে গাছে থাকা শালিকের বাসা থেকে ছানা সংগ্রহ করা হয়। ওর সঙ্গে কথা বলতে বলতে এবং আমাদের নিজেদের কথা শুনতে শুনতে আধোভাবে বাংলা উচ্চারণে কথা বলার মতোই শব্দ করছে। ব্রয়লার মুরগিরর খাবার ও বিভিন্ন খাদ্যশস্য মিশ্রিত খাবার খাইয়ে বড় করেছি। এখনও সেই খাবার দিচ্ছি।

দেড় বছর আগে বাড়ির পাশের গাছ থেকে ছানা সংগ্রহ করেছে মঠবাড়ি মাদরাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্র ও একই এলাকার বদনীকাঠি গ্রামের নান্নু সিকদারের ছেলে কামাল। উপজেলার বাদুরতলা এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে ফয়সাল মঠবাড়ি মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। চার বছর আগে কবুতরের বাসার মধ্যে আলাদা ঘর তৈরি করে। সেখানে প্রজননের পরে ছানা সংগ্রহ করে বিশেষভাবে লালন পালন করছে তারা।

Back to top button