আন্তর্জাতিক

শুরু হয়েছে গোলাগুলি ও বোমাবাজি, ইউক্রেনের বড় শহরে আক্রমণ রুশ বাহিনীর,জেনেনিন সর্বশেষ পরিস্থিতি

রুশ বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলের মাইকোলাইভ ও নিউ কাখোভকার মধ্যবর্তী শহর খেরসনে হামলা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, রুশ সেনারা বিমানবন্দর থেকে নিকোলায়েভ হাইওয়ে এবং কোল্ড স্টোরেজ প্ল্যান্টের কাছে একটি বলয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘণ্টাখানের আগে ইউক্রেনের স্টেট সার্ভিস ফর স্পেশাল কমিউনিকেশনস অ্যান্ড ইনফরমেশন প্রোটেকশন তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে বিবিসি-ইউক্রেনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, খেরসন বিমানবন্দরের কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

খেরসনের প্রশাসন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছে, শহরটি রুশ সেনারা ঘিরে রেখেছে, তবে দখল হয়ে যায়নি।

খেরসনের মেয়র ইগর কোলিখায়ে বলছেন, ‘রুশ সেনারা শহরের প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়েছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, তা বলা মুশকিল। তবে, খেরসন ইউক্রেনীয়দের ছিল এবং থাকবে।’

মেয়র ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে আরও লেখেন, ‘আপনারা প্রত্যেকে শান্ত ও বিচক্ষণ থাকবেন। কারফিউ চলাকালে বাইরে যাবেন না, কারও সঙ্গে আক্রমনাত্মক আলোচনায় যাবেন না এবং শত্রুকে সংঘাতে উস্কে দেবেন না।’

এদিকে, ম্যাক্সার টেকনোলজির দেওয়া স্যাটেলাইটের নতুন ছবিতে উঠে এসেছে রুশ সেনাবাহিনীর নতুন ছবি। ছবিতে সেনাবহরটি অন্তত ৪০ মাইল দীর্ঘ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এর আগে স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করে সোমবার বিবিসি জানিয়েছিল, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ অভিমুখে ১৭ মাইল দীর্ঘ একটি সেনাবহর এগিয়ে যাচ্ছে। এবার বিবিসিতে প্রকাশিত ছবিতে একই সেনাবহরটিকে ৪০ মাইল দীর্ঘ বলা হচ্ছে।

এদিকে ম্যাক্সার টেকনোলজির দেওয়া স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেছে, বহরটি কিয়েভের দিকে যাচ্ছে। এর একদিন আগে রোববার আরেকটি স্যাটেলাইট চিত্রের বর্ণনায় রুশ সেনাবহরটি রাজধানী কিয়েভ থেকে ৪০ মাইল উত্তর পশ্চিমে অবস্থান করছিল বলে জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর গতকাল সোমবার চলমান সংকট নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়।

একই দিন সাবেক রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই ফেদরোভ সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যে লক্ষ্যে রাশিয়া এই অভিযান শুরু করেছে, তা এখনও অর্জিত হয়নি। তবে রাশিয়া বেশি সময় নেবে না।’ তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন ২ মার্চের মধ্যেই জয় দিয়ে এই অভিযান শেষ করতে চান।’

Back to top button