রাশিয়ার ১০০ কিলোটনের পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ হলে পুড়ে ছাই হবে যতদূর, জেনেনিন বিস্তারিত
ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে আসছে রুশ সামরিক বাহিনী; যার জেরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে উপর্যুপরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। এরই মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।
বুধবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়, তাহলে এতে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হবে এবং সেটি হবে ধ্বংসাত্মক।
এরপর থেকেই ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়া কি পরমাণু বোমা ফাটাতে পারে? এমন প্রশ্ন উঠেছে দুনিয়াজুড়ে। অনেকেই মনে করছেন, খুব বেশি বেকায়দায় না পড়লে রাশিয়া অমন কাজ করবে না।
এরই মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু বোমা প্রস্তুত রাখতে বলেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর এসেছে। পুতিনের এই প্রস্তুতিকেই পরমাণু হামলার হুমকি হিসেবে দেখছেন অনেকে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, এরই মধ্যে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভসহ বেশ কয়েকটি শহর দলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। আর রাজধানী কিয়েভের কাছাকাছি চলে গেছে ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রুশ সেনাবহর।
খারকিভ দখলে নিলেও এখনো সেখানে যুদ্ধ চলছে। রাশিয়া যত প্রতিরোধের মুখে পড়ছে, ততই শক্তি বাড়াচ্ছে। ফলে পরমাণু হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক মহল।
রাশিয়া যে কোনো স্থানে যদি ১০০ কিলোটন ওজনের একটি পরমাণু বোমা ফাটায় তাহলে প্রায় এক বর্গ কিলোমিটার এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে যেতে পারে। আর এর প্রভাব হতে পারে আরো অনেক ভয়াবহ।
পরমাণু বোমার প্রথম এয়ার ব্লাস্ট হলে প্রচণ্ডভাবে কেঁপে উঠবে কয়েক বর্গ কিলোমিটার। ভয়ঙ্কর তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়বে অন্তত ১০ বর্গ কিমি এলাকাজুড়ে। ঐ এলাকায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম তেজস্ক্রিয়তার শিকার হবে।
দ্বিতীয় ব্লাস্টের প্রভাবে প্রায় ১৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার ঘরবাড়িসহ সব স্থাপনা ভেঙে পড়বে। ৪৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে থার্মাল রেডিয়েশন। এর মধ্যে থাকা সব মানুষ তেজস্ক্রিয়তার শিকার হবেন। ১০০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্তও বোমার প্রভাব ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমায় আমেরিকা যে পরমাণু বোমা ফেলেছিল, তার শক্তি ছিল প্রায় ১২-১৫ কিলোটন টিএনটির বিস্ফোরণ ক্ষমতার সমান। ওই বোমার আঘাতে প্রায় পাঁচ বর্গমাইল এলাকা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১৪ হাজার মানুষের।