ইউক্রেনে দফায় দফায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া, জেনেনিন সর্বশেষ পরিস্থিতি
‘সর্বাত্মক হামলা’ তৃতীয় সপ্তাহে গড়ানোর পর ইউক্রেইনের বিভিন্ন শহরে রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণের মাত্রা আরো তীব্রতর হতে দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় সময় শনিবার ইউক্রেনের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে বিমান হামলার সতর্কসংকেত পাওয়া গেছে। খারকিভ, চেহেরনিভ, সুমি ও মারিউপোলের মতো শহর ঘিরে রেখেছে রুশ বাহিনী। বোমা হামলার খবরও মিলছে। স্থানীয়রা বলছেন, কিছু সময় পরপর শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ।
রাজধানী কিয়েভের নিকটে দুই পক্ষের ব্যাপক লড়াই চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কিয়েভে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলার আশঙ্কাও রয়েছে।
কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্ট বলেছে যে লভিভ রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকিতে রয়েছে। লভিভ পশ্চিম ইউক্রেনের একটি শক্তিশালী ঘাঁটি যেখানে বর্তমানে অনেক কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অবস্থান রয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ১৩শ ইউক্রেনিয়ান সৈন্য মারা গেছে। কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রুশ সেনাদের প্রাণহানি হয়েছে এর দশ গুণ বেশি। তিনি বলেন, শত শত রুশ সৈন্য আত্মসমর্পণ করেছে। যদিও তার দাবি কতটা সত্য তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে, এমনকি বেলারুশ থেকেও হামলা চালানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা।