আন্তর্জাতিক

RUSHvsUS: ‘অস্ত্র’ নয় ‘তেল’ দিয়ে পুতিনকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে আমেরিকা

নানা আলোচনা–নিষেধাজ্ঞা চলছে। তবু রাশিয়া–ইউক্রেনের যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। পশ্চিমারা নানাভাবে চেষ্টা করলেও অনড় দুই পক্ষ। মস্কোকে কোণঠাসা করতে একগুচ্ছ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ একাধিক দেশ। এর কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে হু হু করে বাড়ছে অপরিশোধিত তেলের দাম। আজ বুধবার তা গিয়ে ঠেকেছে ব্যারেলপ্রতি ১১০ ডলারে। এ পরিস্থিতিতে বাজারে তেলের জোগান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।বিজ্ঞাপন

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বৈঠকে বসে প্যারিসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি বা আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ)। আলোচনার পর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে ভারসাম্য বজায় রাখতে ৬০ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের জোগান দেবে সংস্থাটির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো। আর এর অর্ধেকটাই আসবে আমেরিকার কাছ থেকে।

এ বৈঠকের পর কংগ্রেসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমি ঘোষণা করছি যে আরও ৩০টি দেশের সঙ্গে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে ৬০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল জোগান দেওয়া হবে। এ উদ্যোগে নেতৃত্ব দেবে আমেরিকা। আমরা বাজারে ছাড়ব ৩০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল। প্রয়োজনে জোগান আরও বাড়াতে প্রস্তুত ওয়াশিংটন।’

আইইএর গভর্নিং বোর্ডের সদস্য ৩১টি দেশ। বাজারে তেলের সরবরাহ বাড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে আইইএ বলেছে, ইউক্রেনে সংঘাতের কারণে বৈশ্বিক তেলের বাজারে একটি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী বার্তা পাঠানো যে সরবরাহে কোনো ঘাটতি হবে না। আইইএ ইউক্রেনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে।
ইতিমধ্যেই বৈশ্বিক তেলের বাজারে দাম বেড়েছে। ২০১৪ সালের সালের পর এবার সবচেয়ে বেশি বাড়ল তেলের দাম।

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা আছে আইইএর।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এরপর চলছে ভয়ংকর লড়াই। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বাগে আনতে অন্য আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংককে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের ‘সুইফট’ ব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়ার উদোগ নেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় জোগানদাতা রাশিয়া। বিশেষ করে মস্কোর গ্যাস সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল জার্মানির মতো ইউরোপের দেশগুলো। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ধাক্কা খাচ্ছে তেলের জোগান। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ১১০ ডলার।

Back to top button