Omicron-এখনো দ্রুত ছড়াচ্ছে, কি কারণে থামানো যাচ্ছে না এই ভ্যারিয়েন্টকে? রইলো সর্বশেষ বিশ্লেষণ
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রন এখনো স্থিতিশীল হয়নি। এখনো দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই কোভিড-১৯কে মহামারি হিসেবে বিবেচনা না করে সাধারণ অসুস্থতা হিসেবে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে মঙ্গলবার সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এর আগে গত সোমবার স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ বলেছিলেন, সাধারণ ফ্লু ভাইরাসের মতো কোভিড-১৯–এর বিবর্তনের বিষয়টি নজরদারির ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা উচিত। এর কারণ হচ্ছে, এটি আর তেমন প্রাণঘাতী নয়। একে মহামারির বদলে স্থানীয় অসুস্থতা হিসেবে দেখা হবে।
ইউরোপে ডব্লিউএইচওর জ্যেষ্ঠ জরুরি কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউড বলেন, ‘আমরা এখনো এটি নিয়ে বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি। এ ছাড়া ভাইরাসটি খুব দ্রুত বিকশিত হচ্ছে বলে নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। আমরা এখনো একে স্থানীয় অসুখ বলার মতো নিশ্চিত অবস্থায় নেই।’বিজ্ঞাপন
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে সাড়ে ১৩ লাখ করোনা রোগী শনাক্ত হয়। বিশ্বে কোনো দেশের ক্ষেত্রে এক দিনে করোনা শনাক্তের রেকর্ড এটি। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক সংক্রমণের জন্য করোনা অমিক্রন ধরনকে দায়ী করা হচ্ছে। এর আগে ৩ জানুয়ারি দেশটিতে এক দিনে ১০ লাখ ৩০ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
অমিক্রন বৃদ্ধির মূল কারণ
করোনার নতুন ধরন অমিক্রন ইতিমধ্যে ১০০টির বেশি দেশে ছড়িয়েছে। এ ধরন নিয়ে ভয়ের কথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিজ্ঞানীরা বলছেন। ভয়ের কথা বলছেন অন্যরাও। আফ্রিকায় এ ধরন প্রথম শনাক্ত হয়। এ নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এসব গবেষণায় দেখা গেছে, ডেলটা ও বেটা ধরনের তুলনায় অমিক্রনের পুনরায় সংক্রমিত করার ক্ষমতা তিন গুণ। এ ছাড়া আগে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে গড়ে ওঠা প্রতিরোধব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতা অমিক্রনের রয়েছে।তাই দিন প্রতিদিন বেড়ে চলেছে এই সংক্রমণ মাত্রা।
অমিক্রনের টিকা আসছে মার্চে
এদিকে অমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে টিকা তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মানির প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের পক্ষ থেকে সুখবর এসেছে।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলবার্ট বোরলা বলেন, অমিক্রনকে মাথায় রেখে টিকা তৈরির কাজ চলছে। এ টিকা আগামী মার্চে প্রস্তুত হবে। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশের সরকারের এ নিয়ে আগ্রহ রয়েছে। ফলে টিকা তৈরির কাজ চলছে।
যাঁরা এর আগে টিকা নিয়েছেন, তাঁরাও অমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে টিকা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ফাইজার। এ প্রসঙ্গে সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলবার্ট বোরলা বলেন, টিকা প্রস্তুত হয়ে যাবে আগামী মার্চে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না এই টিকা লাগবে কি না। আমি ঠিক জানি না এই টিকা কীভাবে কাজে লাগবে।’
টিকার কার্যকারিতা নিয়েও কথা বলেছেন আলবার্ট। তিনি বলেন, এখন বিদ্যমান টিকার দুই ডোজ ও বুস্টার ডোজ অমিক্রনে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে ভালো সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
এ নিয়ে বায়োএনটেকের সিইও স্টিফানে ব্যানসেলও কথা বলেছেন সিএনবিসির সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠান অমিক্রনের কথা মাথায় রেখে একটি বুস্টার ডোজ তৈরিতে কাজ করছে।