সংবাদমাধ্যমকে ইসলামের শাসন মেনেই কাজ করতে হবে, জোর ‘হুমকি’ দিলো তালেবান
আফগানিস্তান দখল করার পর তালেবানরা জানিয়েছিল তার বদলে গেছে। যত সময় যাচ্ছে ততই পরিষ্কার হচ্ছে যে তালেবানদের কোনো পরিবর্তনই হয়নি। তারা আগের মতোই নিষ্ঠুরই রয়ে গেছে। তাদের অত্যাচারে সেই ঘটনা তুলে ধরার ‘অপরাধে’ এবার সাংবাদিকদের উপর নেমে আসছে তালিবানি খাঁড়া। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমকে ইসলামের শাসন মেনেই কাজ করার হুমকি দিয়েছে তারা।
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়ে ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তান জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যমকে নিরপেক্ষ হতে হবে এবং ইসলাম ও দেশের মূল্যবোধ মেনে চলতে হবে। তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
শনিবার টুইটারে দেয়া ওই বিবৃতিতে জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ইসলামী আমিরাত মিডিয়ার স্বাধীনতার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে তাদেরকে নিরপেক্ষ এবং ইসলামী ও জাতীয় মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। আমরা মিডিয়ার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে চাই, একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোকে মিডিয়া সংক্রান্ত আইন মেনে চলার আহ্বান জানাই।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর দেশটির মিডিয়াগুলো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যেই অর্থনৈতিক সংকট ও বিধিনিষেধের কারণে বেশ কিছু সংবাদ সংস্থা বন্ধ হয়ে যায়। একটি নতুন জরিপে দেখা গেছে, হাজার হাজার সাংবাদিক, বিশেষ করে নারী সাংবাদিকরা তাদের চাকরি হারিয়েছেন।
আফগানিস্তান ন্যাশনাল জার্নালিস্ট ইউনিয়ন দ্বারা পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা যায়, তালেবান আসার আগে সক্রিয় ছিল ৬২৩টি মিডিয়া। এর মধ্যে ৩১৮টি বন্ধ হয়ে এখন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে ৩০৫টি সংস্থা। সমীক্ষায় আরো বলা হয়, আগে যেখানে ৫ হাজার ৬৯ জন সাংবাদিক কর্মরত ছিলেন, এখন সেখানে কাজ করছেন ২ হাজার ৩৩৪ জন। এদের মধ্যে ২৪৩ জন নারী। সমীক্ষা অনুযায়ী, চাকরি হারানো সাংবাদিকদের মধ্যে ৭২ শতাংশই নারী।
সূত্র: ইকোনোমিকস টাইমস