ঋণের বোঝায় জর্জরিত আমেরিকাও, প্রথমবার ঋণ ছাড়ালো ৩০ লাখ কোটি ডলার
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের বোঝা আগের যে কোনো সময়কে ছাড়িয়ে গেছে। দেশটির সরকারি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির ট্রেজারি বিভাগ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
করোনা মহামারি মোকাবিলা করতে যেয়ে দেশটির সরকারি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে দেশটি আক্রমণাত্মক ব্যয়নীতি প্রয়োগ করেছে। ২০১৯ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ বেড়েছে সাত লাখ কোটি ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কী পরিমাণ ঋণ অত্যধিক তা স্পষ্ট হওয়া অসম্ভব। এটি আসলে কতটা বড় সমস্যা তা নিয়েও বিভক্ত অর্থনীতিবিদরা। তবে সম্প্রতি ঋণের যে মাইলফলক তাতে বোঝা যাচ্ছে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
রক-বটম সুদের হারের বহু বছর পর ফেডারেল রিজার্ভ মুদ্রাস্ফীতি লড়াই মোডে স্থানান্তরিত হচ্ছে। ২০১৫ সালের পর প্রথম সুদের হার বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ফেড। উচ্চতর হারে ঋণ নেওয়ার খরচ এক দিকে অর্থায়নকে কঠিন করবে অন্য দিকে বোঝা বাড়াবে।
জেপিমরগান অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান বৈশ্বিক কৌশলবিদ ডেভিড কেলি বলেন, এটি কোনো স্বল্পমেয়াদী সংকট নয়। তবে এর মানে এই যে আমরা দীর্ঘমেয়াদে আরও দরিদ্র হতে চলেছি।
আর্থিক চ্যালেঞ্জের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা সংস্থা পিটার জি পিটারসন ফাউন্ডেশন জনায়, আগামী ১০ বছরে শুধুমাত্র সুদের খরচ পাঁচ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে এবং ২০৫১ সালের মধ্যে সব ফেডারেল রাজস্বের প্রায় অর্ধেক হবে।