Rushv/sEukren: বাড়ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা, ১২ দেশের নাগরিকদের ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান
ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ করতে পারে পশ্চিমা শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর এমন সতর্কতার মধ্যে এক ডজনেরও বেশি দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছেড়ে চলে যেতে বলেছে।
মস্কো ইউক্রেনের সীমান্তে আনুমানিক ১ লাখ সৈন্য সংগ্রহ করেছে। কিন্তু আক্রমণ করার কথা অস্বীকার করেছে।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি শনিবার বলেছেন, আক্রমণের সতর্কতা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে, যাকে তিনি ‘আমাদের শত্রুদের সেরা বন্ধু’ বলেছেন।
হোয়াইট হাউস সতর্ক করে বলছে, যে কোনো সময় একটি আক্রমণ ঘটতে পারে এবং বোমা হামলা শুরু হতে পারে। রাশিয়া এই ধরনের অভিযোগকে ‘উস্কানিমূলক জল্পনা’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
অ-প্রয়োজনীয় কর্মীদের ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে মার্কিন দূতাবাস ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং রোববার থেকে কনস্যুলার পরিসেবাগুলি স্থগিত করা হবে, যদিও ‘জরুরি পরিস্থিতি পরিচালনা করার জন্য পশ্চিমের শহর লভিভে ‘একটি ছোট কনস্যুলার উপস্থিতি’ থাকবে।
কানাডাও তার দূতাবাসের কর্মীদের পোল্যান্ডের সীমান্তের কাছে লভিভে সরিয়ে নিচ্ছে, কানাডিয়ান মিডিয়া জানিয়েছে। ইউক্রেনে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত মেলিন্ডা সিমন্স টুইট করে বলেছেন, তিনি কিয়েভে অবস্থান করছেন।
অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ইসরায়েল, নেদারল্যান্ডস ও জাপানসহ অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। কেউ কেউ কূটনৈতিক কর্মী ও তাদের পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ফরাসি দূতাবাসের প্রকাশিত নোট অনুসারে, ফরাসি রাষ্ট্রপতি এমমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শনিবার ফোনে ৯০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে কথা বলেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এর আগে তার রুশ প্রতিপক্ষ, লাভরভকে বলেন, কূটনৈতিক চ্যানেলগুলি খোলা রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি