হাসপাতালে রোগীসহ ৪০০ জনকে ‘বন্দি ’, রুশ সেনার কাজে নিন্দা করছে আন্তর্জাতিক মহল
ইউক্রেনের দক্ষিণের বন্দর শহর মারিউপোলের সবচেয়ে বড় হাসপাতালে ভয়াবহ রুশ হামলার পর সেখানকার রোগী এবং চিকিৎসকসহ ৪শ’ জনকে জিম্মি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রশাসন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কয়েকদিন ধরে বন্দরনগরী মারিউপোলে রুশ সেনারা প্রাণঘাতী হামলা চালানোর পর সেখানকার সবচেয়ে বড় মাতৃসদন হাসপাতাল দখল করেছে। সেখানেই রোগী এবং হাসপাতালকর্মী মিলিয়ে ৪০০ জনকে আটকে রেখে তাদের সঙ্গে জিম্মির মতো আচরণ করা হচ্ছে।
আঞ্চলিক গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো বলেছেন, মারিওপোলের পশ্চিম উপকণ্ঠের ইনটেনসিভ কেয়ার হাসপাতালটি গোলা হামলায় প্রায় ধ্বংসই হয়ে গেছে। তারপরও সেখানকার বেজমেন্টে কর্মীরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।
হাসপাতালের এক কর্মী বলেছেন, রুশরা আশপাশের এলাকা থেকে ৪০০ জনকে জোরপূর্বক ধরে এনে রেখেছে, আমরা বের হতে পারছি না। একটি ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংস্থা দাবি করেছে রুশ সেনারা হাসপাতাল থেকে কেউ বের হলেই তাকে গুলি করার হুমকি দিচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, মারিউপোলে বোমা হামলা শুরুর পর থেকে এরই মধ্যে অন্তত ২,৫০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। নগরীর বহু বাসিন্দা মাটির নিচে আশ্রয় নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে।
এর মধ্যেই চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ১ হাজার ৩০০ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একই সঙ্গে মারিউপোলে মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে পশ্চিমাদের প্রতি মানবিক সহায়তার আহ্বানও জানান তিনি।
তিনি বলেন, মারিউপোলে ত্রাণবাহী গাড়ি যাতে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য তারা শহরটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে। ইউক্রেনকে রক্ষায় ন্যাটো তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না। যেসব এলাকা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেসব অঞ্চলের সুরক্ষায় ন্যাটোর কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। ওইসব এলাকার নিরাপত্তা তাদেরই নিশ্চিত করতে হবে।