বিশেষ: বেঁকে গিয়েছে গায়কের মুখ, যে ভয়ানক রোগে মুখের এক পাশ অবশ জাস্টিন বিবারের
জাস্টিন বিবার একজন জনপ্রিয় কানাডিয়ান পপ তারকা। সম্প্রতি তিনি আক্রান্ত হয়েছেন এক ভয়ংকর রোগে। যে জাস্টিন বিবারকে দেখার সুযোগ পেলে ভক্তদের চোখের পাতা পড়ে না। বিশ্বখ্যাত এই গায়ক আজ নিজেই তার এক চোখের পলক ফেলতে পারছেন না। পারছেন না হাসতেও। তার মুখের এক পাশ অবশ হয়ে গেছে। ‘রামজে হান্ট সিনড্রোম’ নামে রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।
‘রামজে হান্ট সিনড্রোম’ বিরল একটি রোগ। এটি স্নায়ুর অসুখ। এতে মুখ এবং কানের স্নায়ুর ক্ষতি হয়। এ রোগে আক্রান্ত রোগীর মুখ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শ্রবণশক্তিও চলে যেতে পারে।
‘রামজে হান্ট সিনড্রোম’ রোগ কেন হয়?
চিকেনপক্সে আক্রান্তদের মধ্যে বেশি দেখা দেয় এই রোগ, কারণ এটি একই ভাইরাসের কারণে হয়। চিকেনপক্স থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও ‘ভেরিসেলা জোস্টার’ নামক ভাইরাস শরীরে থেকে যায় এবং এটি ক্ষতিকারক নয়, যদি না পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠে।
মানসিক চাপ থেকে ভাইরাসটি পুনরায় যেকোনো সময় সক্রিয় হতে পারে এবং ‘দাদ’ নামক যন্ত্রণাদায়ক ফুসকুড়ির সৃষ্টি করে। যা ‘রামজে হান্ট সিনড্রোম’ রোগে রূপ নিতে পারে।
রামজে হান্ট সিনড্রোম হলো শিঙ্গলসের একটি জটিলতা, কারণ দাদটি কানের ভেতরের দিকে, কপালের স্নায়ুর উপরে এবং মুখের স্নায়ুতে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এতে মুখের প্যারালাইসিস হয়। অর্থাত্ মুখের আক্রান্ত পাশ অবশ হয়ে যায় ও শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যায়।
রামজে হান্ট সিনড্রোমের উপসর্গ কী কী?
* মাথাব্যথা।
* কানব্যথা।
* মুখমণ্ডল অবশ হয়ে হওয়া।
* মাথা ঘোরা বা ভার্টিগো।
* শ্রবণশক্তি হ্রাস।
* চোখের শুষ্কতা বা চোখব্যথা।
** খাবারের স্বাদ না পাওয়া।
* জিহ্বা, কান, মুখে ফুসকুড়ি বা তরল ভরা ফোস্কা।
রামজে হান্ট সিনড্রোমের চিকিত্সা কী?
যুক্তরাজ্যের ফেসিয়াল পালসি নামক একটি দাতব্য সংস্থার তথ্যমতে, রামজে হান্ট সিনড্রোমের সন্দেহভাজন রোগীদের উপসর্গ দেখা দেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অ্যান্টিভাইরাল এবং স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দেওয়া উচিত। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চিকিত্সা নিলে প্রায় ৭০ শতাংশ রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। অন্যথায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ কমে যায়।
সূত্র: এবিসি নিউজ।