দুই কুকুর মিলে তরুণীকে ৮০০ বারের বেশি কামড়, মুখ-চেহারা খুবলে খেল হিংস্র প্রাণীগুলি
কুকুর প্রভুভক্ত ও গৃহপালিত প্রাণী হলেও কখনও কখনও বন্য প্রাণীরমতই আক্রমণ চালায় মানুষের ওপর। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যেও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে।
এক কলেজছাত্রীকে দু’টি কুকুর হামলা চালিয়ে ৮০০ বারের বেশি কামড়েছে। এতে তার শরীর থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ রক্ত ঝরে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কুকুরগুলোকে দমাতে ব্যর্থ হয় তারা।
ডালাসের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী জ্যাকুলিন ডুরান্ড। গত ডিসেম্বরে তার ২২তম জন্মদিনের একদিন ভয়াবহ এই হামলার শিকার হন জ্যাকুলিন। ওইদিন তিনি ডা. জাস্টিন বিশপ ও তার স্ত্রী অ্যাশলের দুই কুকুরকে রাস্তায় হাঁটানোর জন্য এই দম্পতির বাড়িতে যান।
কিন্তু দরজা খুলতেই কুকুর দু’টি ঝাপিয়ে পড়ে জ্যাকুলিনের ওপর। একটি কুকুর মিশ্র জাতের জার্মান শেফার্ড, এটির নাম লুসি। আরেকটি কুকুর পিটবুলের মিশ্র জাতের, এটির নাম বেন্ডার।
ওই ঘটনার পর এই প্রথম সিবিএস নিউজকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জ্যাকুলিন। তিনি বলেন, মনে হচ্ছিল আমার চেহারা থেকে যেন চামড়া খসে পড়ছিল। আমার মনে হচ্ছিল আমি মারা যাব।
এসময় তাকে হুইলচেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়। জ্যাকুলিনের চেহারায় মারাত্মক ক্ষত হয়। পরে নিতম্ব থেকে স্কিন গ্রাফট করতে হয় তার। সিবিএস জানায়, জ্যাকুলিনকে এক সপ্তাহ কোমায় থাকতে হয়েছে।
মেয়েকে জীবিত ফেরত পেয়ে খুশি জ্যাকুলিনের বাবা জন ডুরান্ড ও মা শার্লি ডুরান্ড। শার্লি বলেন, আমি তাকে জীবিত দেখতে পেয়েই আনন্দিত। তার পুরো চেহারায় ব্যান্ডেজ করা ছিল।
এ ঘটনায় জানুয়ারি মাসে একটি মামলা দায়ের হয়। মামলায় বলা হয়, কুকুরগুলো এতটাই হিংস্র এবং রক্তপিপাসু ছিল যে তারা জ্যাকলিনের নীল জিন্সসহ তার সব জামাকাপড় খুলে ফেলে। কুকুরগুলো জ্যাকলিনের কান, নাক, ঠোঁট এবং চোখের নিচের মুখের বেশিরভাগ অংশ ছিঁড়ে খেয়ে ফেলে।
সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট