আন্তর্জাতিক

আদুরে মেয়ে ইভাঙ্কার ওপর চটে গেছেন ট্রাম্প, জেনেনিন কারণ

ব্যাপক ভোট জালিয়াতির ভিত্তিহীন দাবি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর মেয়ে ইভাঙ্কার ওপর চটেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২১ সালের ক্যাপিটল দাঙ্গার ঘটনায় বৃহস্পতিবার এক তদন্ত শুনানিতে ইভাঙ্কার আগে না দেখা একটি ভিডিও দেখানো হয়। এতে তিনি জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেন।

ডেমোক্র্যাটরা বলছেন কংগ্রেসে সংঘবদ্ধ দলের আক্রমণের ঘটনাটি ট্রাম্পের এক মাস ধরে অভ্যুত্থানের চেষ্টার চূড়ান্ত পরিণতি।

৬ জানুয়ারি ২০২১ সালের দাঙ্গা নিয়ে সাক্ষ্য এবং গ্রাফিক ফুটেজ বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে প্রচার করে মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সিলেক্ট কমিটি। টিভি নেটওয়ার্কে তা দেখেছেন প্রায় দুই কোটি দর্শক। এতে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বারের স্বাক্ষ্য দেখানো হয়। তাতে দেখা যায়, তিনি বারবার ট্রাম্পকে বলেছেন ব্যাপক ভোট জালিয়াতির যে অভিযোগ ট্রাম্প তুলেছেন তা ঠিক নয় আর তিনি নির্বাচনে হেরেছেন।

এছাড়া গত এপ্রিলে কমিটির কাছে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের সাক্ষ্যের একটি ভিডিও দেখানো হয়। তাতে তার কাছে বিল বারের মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। ইভাঙ্কা বলেন, ‘এটা আমার দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবিত হয়। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল বারকে সম্মান করি তাই তিনি যা বলছেন তা আমি মেনে নিয়েছি।’

মেয়ের ভিডিওটি সামনে আসার পর নিজের সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ট্রাম্প। শুক্রবার এই তদন্দকে ‘উইচ হান্ট!’ (শয়তান খোঁজা) আখ্যা দেন। ট্রাম্প বলেন, ‘ইভাঙ্কা ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল দেখার বা গবেষণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি অনেক আগেই বের হয়ে গেছেন এবং আমার মতে, শুধুমাত্র বিল বার এবং অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে তার অবস্থানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার চেষ্টা করছেন (তিনি তোষণ করেছেন!)’। নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে বলে আবারও জোর দিয়ে ট্রাম্প বিল বারকে ‘কাপুরুষ’ আখ্যা দেন।

ইভাঙ্কা ট্রাম্প তার বাবার প্রশাসনে প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ছিলেন এবং ক্যাপিটলে হামলা শুরুর আগে হোয়াইট হাউসের বাইরে ট্রাম্প যে সমাবেশ করেছিলেন তাতে তার সঙ্গেও ছিলেন তিনি।

২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনের পর থেকে সামান্য কয়েকটি ভোটার জালিয়াতির মামলা হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিজয়কে প্রভাবিত করতে পারে এমন কোনও মাত্রায় এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপের কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

হাউজের সিলেক্ট কমিটি আরও পাঁচটি শুনানি করবে। আগামী সোমবারে দেখানোর চেষ্টা করা হবে ট্রাম্প এবং তার ঘনিষ্ঠরা জানতেন তিনি নির্বাচনে হেরেছেন, তারপরেও ভোটার জালিয়াতির দাবি ছড়িয়েছেন।

এক বছরের বেশি সময় ধরে তদন্তে ওই কমিটি এক হাজারের বেশি স্বাক্ষ্য এবং এক লাখ ৪০ হাজারের বেশি নথি সংগ্রহ করেছে।

সূত্র: বিবিসি

Back to top button