ভারতের অন্যতম বড় শিল্পপতি হলেন রতন টাটা। তিনি সবার কাছে এই নামেই বেশি পরিচিত। আর আপনি যদি ইতিহাস ঘটনা তাহলে দেখতে পারবেন যে টাটা বংশের প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজি টাটা। তার কোম্পানির ব্যবসাকে একজন ভারতীয় হওয়া সত্ত্বেও এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছিলেন যে ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা সেই সময় তাকে ঈর্ষা করতো।
ব্রিটিশ আমল থেকে বর্তমান সময় এখনো সেই টাটা গ্রূপের নাম ও আদিপত্য বজায় আছে ভারতের অর্থনীতিতে। বর্তমানে মুকেশ আম্বানি ভারতের শীর্ষ ধোনি হলেও টাটাদের কাছে আছে প্রাচীন ঐতিহ্য পূর্ণ মর্যাদা।
ভারতের এই অন্যতম শিল্প সংস্থার মালিক রতন টাটা করোনা কালে মানুষের পাশে দাঁড়াতে নিলেন বড় এক অভিনব পদক্ষেপ। গতবারের তুলনায় এবারের করোনা পরিস্থিতি বেশ মারাত্বক। এবার দেখা যাচ্ছে অক্সিজেনের অভাব। এরকম পরিস্থিতে রতন টাটা তার কর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন। ভারতের এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে বাড়ির পুরুষই হলো মূল উপার্জনকারী। আর সেই ব্যক্তির কিছু হলে অসহায় হয়ে যায় তার পরিবার।
#TataSteel has taken the path of #AgilityWithCare by extending social security schemes to the family members of the employees affected by #COVID19. While we do our bit, we urge everyone to help others around them in any capacity possible to get through these tough times. pic.twitter.com/AK3TDHyf0H
— Tata Steel (@TataSteelLtd) May 23, 2021
ব্যতিক্রম নয় টাটা কোম্পানির কর্মচারীর পরিবারও। তাই করোনার কারণে যে সমস্ত কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে তাদের প্রতি মানবিকতার দৃষ্টিতে নিলেন এক বড় সিদ্ধান্ত সম্প্রতি টাটা সংস্থার পক্ষ থেকে এই বিশেষ টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে “করোনা আক্রান্ত হয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কোনও কর্মচারীর মৃত্যু হলেও তার বেতন বন্ধ হবে না। যতদিন না ওই কর্মচারির ৬০ বছর বয়স পূর্ণ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত তার পরিবার মাসে মাসে সমান বেতন পাবেন। শুধু তাই নয়, কর্মচারীর মৃত্যুর পরেও তার পরিবার আগের মতই সংস্থার তরফ থেকে চিকিৎসা ও আবাসন সংক্রান্ত সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন।”
সেই সাথে টাটা স্টিল কোম্পানি আরও জানিয়েছে “সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীদের মধ্যে করোনার বিরুদ্ধে ‘ফ্রন্টলাইন’ যোদ্ধা হিসেবে যারা কাজ করছেন, ভবিষ্যতে করোনার কারণে তাদের কারোর মৃত্যু হলে তাদের সন্তানদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার দায়িত্ব নেবে টাটা স্টিল কোম্পানি।” ভারতের এই বড় অগ্রণী সংস্থার এমন সিদ্ধান্তে কার্যত প্রত্যেক কর্মচারী খুশি সেই সাথে পরিবার নিয়ে তারা ফেলেছে স্বস্তির নিঃশ্বাস।