নিউজদেশ

মুখ্যমন্ত্রীকে ‘রক্তখেকো রাক্ষসী মমতা’ বলায়, কঙ্গনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিলেন রাজ্য সরকার

তৃণমূল এবার বাংলায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের আসছে ক্ষমতায়। শাসক দলের বিপুল জয়ের পর তারকারাও তাদের বিভিন্ন পোস্টার মাধ্যমে করছে নজর। তবে জয়ের পর কঙ্গনা নিজেই মমতা ব্যানার্জির প্রশংসা করেছেন। তবে শুরুর থেকেই কঙ্গনা মোদির সমার্থক বলেই পরিচিত। প্রসঙ্গত, ভোট মিটতেই গোটা রাজ্য জুড়েই শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। রাজ্যের সবথেকে বেশি ভয়ঙ্কর সংঘর্ষের খবর আসছে নানুর থেকে।বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাসগুপ্ত অমিত শাহের কাছে চাইলেন নোরাপত্তা। তিনি নানুরে নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন অমিত শাহ কে।

টুইটারে অমিত শাহ কে ট্যাগ করে স্বপন দাসগুপ্ত লিখেছেন ‘নানুরে (বীরভূম) আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিজেপি সমর্থকদের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করা উন্মত্ত জনতার হাত থেকে বাঁচতে হাজারের বেশি (নির্দিষ্ট ধর্মের) পরিবার মাঠে নেমে এসেছে। নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা বা তার চেয়ে আরও খারাপ বিষয়ের খবর মিলছে।’ তারপরেই তিনি অমিত শাহের কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য অনুরোধ করেন।

ভোট পরবর্তী সময়ে কঙ্গনা মমতা ব্যানার্জীর নানা কথা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক বক্তব্য পেশ করতে থাকেন। তিনি গর্জে ওঠেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি ইনস্টাগ্রামে গর্জে ওঠেন। তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জ্বলজ্বল করছে তাঁর বিরুদ্ধে করা এফ আই আরের কপি। এই ছবি পোস্ট করে কঙ্গনা লেখেন – “রক্তখেকো রাক্ষসী মমতা, তিনি তাঁর শক্তি দিয়ে আমায় চুপ করাতে চাইছেন”। কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র ঋজু দত্ত।

গত বৃহস্পতিবার সম্প্রদায়কে বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন। উল্লেখ্য, একই দিনে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে রাজ্যে হিংসার প্রতিবাদে বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি ও বিজেপির নব নির্বাচিত বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে আটক করা হয়। করোনা বিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে আটক করা হয় তাঁদের। এই বিষয়টি নিয়েও গর্জে উঠেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত।

Back to top button