মোদী সরকার ইতিমধ্যে E-Census নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এই বিষয়ে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, আগামিদিনে জনগণনা E-Census হবে। এতে ১০০ শতাংশ জনগণনা সঠিক হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অমিত শাহ বলছেন, এই E-Census-এর মাধ্যমেই আগামী ২৫ বছরের জন্যে একটি নীতি তৈরি করা হবে।
শুধু তাই নয়, ২০২৪ এর মধ্যে জন্ম এবং মৃত্যু’র আপডেট জনগণনা রেজিস্টারে থাকবে।
E-Census আসলে কি?
ই-জনগননা আসলে electronic জনগণনা। এতে বাচ্চা জন্মানো থেকে শুরু করে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত তথ্য ডেটা’র মতো করে রাখা থাকবে। সমস্ত ডেটা অর্থাত্ অনলাইনের মাধ্যমে যুক্ত থাকবে। জনগণনাতে হাইটেক, Multipurpose Census App-এর মাধ্যমে জন্ম, মৃত্যু, পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি সহ একাধিক ব্যক্তিগত তথ্য আপডেট করা যাবে।
E-Census-এর মাধ্যমে কি সুবিধা পাওয়া যাবে-
বিশেষজ্ঞমহল মনে করছেন E-Census-এর মাধ্যমে বেশ কয়েকটি সুবিধা পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, E-Census সবথেকে সঠিক এবং বৈজ্ঞানিক জনগণনা হবে বলেও দাবি তাঁদের। আর এও বলেছেন, বাচ্চার বয়স যখনি ১৮ বছর হয়ে যাবে তখনই ভোটার লিস্টে নাম উঠে যাবে। আবার মৃত্যুর হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম বাদ পড়ে যাবে ওই তালিকা থেকে। ব্যক্তিগত তথ্য খুব সহজেই আপডেট করা যাবে। এই সিস্টেম আসার ফলে সরকারি দফতরে চক্কর লাগানোর কোনও প্রয়োজন নেই বলেও জানাচ্ছে প্রকাশিত সংবাদমাধ্যম।
আরও কি বলছেন অমিত শাহ?
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার আদমশুমারিকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বৈজ্ঞানিক ভাবে এবং সঠিক গণনা এবং আদমশুমারির ফলাফলগুলির সঠিক বিশ্লেষণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন।