Chandrayaan-3: পর পর ছবি তুলে পাঠাচ্ছে পৃথিবীতে, জেনেনিন চাঁদের কত কাছে রয়েছে চন্দ্রযান-৩?
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) ঘোষণা করেছে যে চন্দ্রযান-৩ চাঁদের কক্ষপথে সফলভাবে প্রবেশ করেছে। মহাকাশযানটি ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এবং তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পৃথিবী থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে।
চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি চাঁদে অবতরণকারী প্রথম ভারতীয় মহাকাশযান এবং চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী চতুর্থ মহাকাশযান হবে।
চন্দ্রযান-৩ একটি রোভার বহন করে যা চাঁদের পৃষ্ঠে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। এই পরীক্ষাগুলি চাঁদের জলবায়ু, ভূতত্ত্ব এবং সম্ভাব্য জীবনের অস্তিত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে।
বর্তমানে কোথায় রয়েছে চন্দ্রযান-৩?
চাঁদের আরও কাছে পৌঁছে গিয়েছে চন্দ্রযান-৩। বর্তমানে এটি চাঁদের থেকে সর্বনিম্ন ১৭০ কিলোমিটার ও সর্বোচ্চ ৪৩১৩ কিলোমিটার দূরত্বে নির্দিষ্ট কক্ষপথে রয়েছে। আগামী ৯ অগাস্ট দুপুর ১টা থেকে ২টোর মধ্যে আরও এক ধাপ নীচে নামবে চন্দ্রযান-৩।
চন্দ্রযান-৩-এর কক্ষপথ পরিবর্তন
চন্দ্রযান-৩ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করার পরে, এটিকে আরও নিকটবর্তী কক্ষপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি কক্ষপথ পরিবর্তন করতে হবে। এই কক্ষপথ পরিবর্তনটি আগামী ৯ অগাস্ট দুপুর ১টা থেকে ২টোর মধ্যে সম্পন্ন হবে।
কক্ষপথ পরিবর্তনটি চন্দ্রযান-৩-এর রোভারকে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করতে দেবে। রোভারটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে, যা চাঁদের সবচেয়ে কম অধ্যয়ন করা অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি।
রোভারটি চাঁদের পৃষ্ঠে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। এই পরীক্ষাগুলি চাঁদের জলবায়ু, ভূতত্ত্ব এবং সম্ভাব্য জীবনের অস্তিত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে।
চন্দ্রযান-৩-এর রোভার
চন্দ্রযান-৩-এর রোভারটি একটি ছোট, চার-চাকার যানবাহন যা ৬০০ কেজি ওজনের। রোভারটিতে একটি ক্যামেরা, একটি স্পেকট্রোমিটার এবং একটি গ্রাভিমিটার রয়েছে।
রোভারটি চাঁদের পৃষ্ঠে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারে। রোভারটি প্রতিদিন ১০০ মিটার পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারে।
রোভারটি চাঁদের পৃষ্ঠে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। এই পরীক্ষাগুলি চাঁদের জলবায়ু, ভূতত্ত্ব এবং সম্ভাব্য জীবনের অস্তিত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে।
চন্দ্রযান-৩-এর মিশনের তাৎপর্য
চন্দ্রযান-৩-এর মিশনটি একটি বড় সাফল্য হবে। এটি ভারতকে চতুর্থ দেশ করে তুলবে যা চাঁদে অবতরণ করেছে। এটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম ভারতীয় মহাকাশযানও হবে।
চন্দ্রযান-৩-এর মিশনটি চাঁদের সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান বাড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। এটি চাঁদের জলবায়ু, ভূতত্ত্ব এবং সম্ভাব্য জীবনের অস্তিত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে।
চন্দ্রযান-৩-এর মিশনটি ভারতের মহাকাশ গবেষণা কর্মসূচির জন্য একটি বড় সাফল্য হবে। এটি ভারতকে মহাকাশ গবেষণায় একটি শক্তিশালী দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবে।