রেকর্ড ভেঙে ১৬ বার এভারেস্ট জয় করলেন যুবক, প্রশংসা করছে সকলে
রেকর্ড ভেঙে ১৬তম বার মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় উঠলেন ব্রিটিশ পর্বতারোহী কেন্টন কুল। শনিবার এই পর্বতারোহী ২৯ হাজার ৩২ ফুট উঁচু চূড়াটির ওপর তাঁর পদচিহ্ন এঁকে দিলেন ১৬ বারের মতো। এভারেস্ট যে দেশে অবস্থিত, সেই ‘হিমালয়কন্যা’ নেপালের শেরপারা ছাড়া বিশ্বের আর কেউ এতবার বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে উঠতে পারেননি।
আগের ১৫ বারের এভারেস্ট অভিযানে কেন্টন কুল স্যার রানুলফ ফিয়েনস এবং সম্প্রচার ব্যক্তিত্ব বেন ফোগলসহ কয়েকজন সুপরিচিত পর্বতারোহীর পথপ্রদর্শক ছিলেন।
নেপালের কামি রিতা শেরপা এবং লাকপা শেরপা সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণ করেছেন। নেপালের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে বাস করা শেরপারা পর্বতারোহণে দক্ষ। তাঁদের মধ্যে অনেকেই দেশি-বিদেশি পর্বতারোহীদের গাইড হিসেবে বহুবার পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে উঠেছেন।
ব্রিটিশ পর্বতারোহী কেন্টন কুলই প্রথম ব্যক্তি, যিনি বেইস ক্যাম্পে ফিরে না গিয়ে এক ধাক্কায় এভারেস্ট, লোেস এবং নুপ্তসে-এই তিন চূড়ায় উঠে ‘এভারেস্ট ত্রিমুকুট’ পুরো করেছেন। আবার তিনিই প্রথম ব্রিটিশ গাইড, যিনি একজন ক্লায়েন্টকে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া কে-টুতে নিয়ে গিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে এক রক-ক্লাইম্বিং দুর্ঘটনায় ইংল্যান্ডের গ্লস্টারশায়ারের বাসিন্দা কেন্টন কুলের উভয় গোড়ালির হাড় ভেঙে যায়।
চিকিত্সকরা বলেছিলেন, তিনি আর কখনো সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারবেন না। অস্ত্রোপচার এবং থেরাপির এক বছর পরে ডাক্তারদের ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা প্রমাণ করেছেন কুল। তবে তাঁর পায়ে এখনো ব্যথা রয়েছে।
এবার এভারেস্টে ওঠার শেষ ধাপের আগে কেন্টন কুল বলেন, পরিস্থিতি ভালো দেখাচ্ছে। দারুণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস। দলটিও দুর্দান্ত। এভারেস্টের মতো পাহাড়ে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস বিপজ্জনক। অভিযান শেষে বেইস ক্যাম্পে ফিরে না আসা পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত নয় বলেছেন অদম্য এই ব্রিটিশ। ‘আশা করি, আমরা প্রায় তিন দিনের মধ্যে বেইস ক্যাম্পে ফিরব। ‘