
মালদার পর মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগ, বিস্ফোরক সুকান্ত, মোথাবাড়িতে বাধা
মুর্শিদাবাদ, ৩০ মার্চ ২০২৫: মালদার পর এবার মুর্শিদাবাদেও হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার মোথাবাড়িতে যাওয়ার পথে তাঁকে ও তাঁর সঙ্গীদের স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপি নেতৃত্ব।
এদিন মুর্শিদাবাদে পৌঁছানোর পর সুকান্ত মজুমদারের কনভয় মোথাবাড়ির দিকে রওনা হলে পথে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “মালদার পর এবার মুর্শিদাবাদেও হিন্দুদের উপর ধারাবাহিক হামলা চলছে। আমরা সেই সমস্ত আক্রান্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের মোথাবাড়িতে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করে পথ আটকে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “রাজ্যে আইন বলে কিছু নেই। পুলিশ নীরব দর্শক। তৃণমূলের মদদেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।” সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন এবং অভিযোগ করেন যে, রাজ্যে হিন্দুদের নিরাপত্তা বিপন্ন।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এলাকায় শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তা অবরোধ করেছিল। বিজেপির রাজ্য সভাপতির আগমন ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারত, সেই কারণে স্থানীয়রাই এই পদক্ষেপ নিয়েছিল বলে দাবি তাদের।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মালদাতেও হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল, যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। এবার মুর্শিদাবাদের ঘটনা সেই বিতর্ক আরও উস্কে দিল। বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানো হবে বলে সূত্রের খবর। আগামী দিনে এই ঘটনা রাজ্য-রাজনীতিতে নতুন মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।