জেল থেকে বেরিয়ে কাফিল খানের বক্তব্য যোগী আদিত্যনাথ ‘শিশুর মতো অবুঝ’
মঙ্গল বার জেল থেকে বেরিয়ে চিকিৎসক কাফিল খান মন্তব্য করলেন আমি এসটিএফের কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ মুম্বই থেকে মথুরা আনার পথে তারা আমাকে এনকাউন্টারের নামে হত্যা করেনি। উত্তর প্রদেশের ডাক্তার কাফিল খানকে জাতীয় সুরক্ষা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ও মথুরা জেলে রাখা হয়েছিল । অভিযোগ, নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে তিনি হিংসায় উস্কানি দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেয়, চিকিৎসককে আটকে রাখা বে আইনি। তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার আদেশ হয়। বিচারক দেড় মতে, ডাক্তার তাঁর ভাষণে এমন কিছু বলেননি যাতে ঘৃণার বাতাবরণ সৃষ্টি হতে পারে বা হিংসায় ইন্ধন যোগাতে পারে।
জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেই কাফিল খানকে রাজস্থানের ভরতপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি বলেন, “আমি বিচার ব্যবস্থার প্রতি কৃতজ্ঞ। কারণ বিচারপতিরা দারুণ রায় দিয়েছেন। তাঁরা পরিষ্কার বলেছেন, আমি হিংসায় উস্কানি দিইনি। সব শেষে আমি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের প্রতি। কারণ মুম্বই থেকে মথুরায় আনার পথে তারা আমাকে এনকাউন্টারের নামে খুন করেনি।”
যোগী আদিত্যনাথের কথা উইল্লেখ করে কাফিল খান বলেন, “রামায়ণে মহর্ষি বাল্মীকি বলেছিলেন, রাজাকে রাজধর্ম মেনে চলতে হবে। উত্তরপ্রদেশে রাজা রাজধর্ম মেনে চলছেন না। তিনি বালকের মতো অবুঝ।”
জানা যায় হাইকোর্ট রায় দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা বাদেও জেল কর্তৃপক্ষ কাফিল খানকে মুক্তি দেয়নি। তাঁর পরিবার জানায়, হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে। কাফিল খানের মা নুজাত পরভিন বলেন, “আমার ছেলে যে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছে, তাতে আমি খুশি। দীর্ঘদিন বাদে আমি তাকে দেখতে পেলাম। স্পর্শ করতে পারলাম।”
মথুরা জেলে যাওয়ার পথে নুজাত পরভিন বলেন, “আমার ছেলে অসৎ নয়। সে সমাজ বা দেশের বিরুদ্ধে কোনও কাজ করেনি। আজ আমার নাতনির জন্মদিন। আমি তার জন্য মথুরায় কেক নিয়ে যাচ্ছি।”