আজ কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেড সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশকে ঘিরে রাজনীতিতে চলছে তুমুল বিতর্ক। তৃণমূল ও বিজেপি নেতারা ডিওয়াইএফআই-এর সমাবেশকে কটাক্ষ করে বলছেন, এই সমাবেশে আসা মানুষ সিপিএমকে ভোট দেবেন না।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন, “ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেড সমাবেশের নামে কিছু লোক ব্রিগেড যাবেন, কিন্তু সিপিএমকে ভোট দেবেন না। সিপিএম-এর কাছে তো ব্রিগেড নতুন নয়। ২১ সালেও ব্রিগেড করেছে, তারপর শূন্য পেয়েছে। অর্থাৎ ব্রিগেড দেখিয়ে, ব্রিগেডে লোক আসছে, শিয়ালদা থেকে লোক ঢুকছে, শিয়ালদা থেকে এত মানুষ এল, সিট তো সেই গিয়ে শূন্য। বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে সিপিএম। যাঁরা যাবেন আজ লালঝান্ডা নিয়ে, তাঁরা চক্ষুলজ্জায় তো বলতে পারবেন না, তাঁদের মধ্যে কিছু মানুষ, যাঁদের বাড়িতে কন্যাশ্রী, সবুজসাথী থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, তাঁরা চুপচাপ তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন, আর যাঁরা অন্ধ তৃণমূল বিরোধী তাঁরা বিজেপিকে ভোট দেবন, সিপিএম-এর খাতা তো থাকবে শূন্য। তাই কিছু লোক যাঁরা চক্ষুলজ্জায় দলকে বলতে পারবেন না, তাঁরা ব্রিগেডে যাবেন।”
কুণাল ঘোষ আরও বলেছেন, “সিপিএম-এর ব্রিগেড নতুন নয়, কিন্তু সিপিএম-এর ব্রিগেড মানেই সিপিএমকে ভোট নয়। সিপিএম-এর কাছে প্রথম চ্যালেঞ্জ, ভোটটা আগে বিজেপির কাছ থেকে ফিরিয়ে আনুক। সিপিএম কমেছে বিজেপি বেড়েছে। সিপিএম বড় বড় কথা পরে বলবে, ব্রিগেড দেখিয়ে কী হবে! এই ব্রিগেড আগে দেখা। এবারে ব্রিগেড দেখিয়ে সম্পূর্ণ হবে না, সিপিএম-এর ক্ষমতা থাকলে ৪২টা আসনে একা লড়ুক, জামানত জব্দ হবে, শূন্য পাবে, তাহলে ব্রিগেডের ভ্যালু কী আছে, ব্রিগেডের ভ্যালু নেই।”
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও ডিওয়াইএফআই-এর সমাবেশকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “এর আগেও ব্রিগেড করেছেন, বিধানসভার আগেও ব্রিগেড করেছিলেন বামপন্থীরা, ভরিয়েও দিয়েছিলেন, কিন্তু একটা আসনেও জিততে পারনি। তৃণমূল তো ব্রিগেড করেনি, বিজেপি করেছিল। ব্রিগেড করাটা বামপন্থীদের একটা ঐতিহ্য, বহু বছর ধরে, যতদিন পার্টি আছে এটা চেষ্টা করবেন তাঁরা। গতবারে আইএসএফকে সঙ্গে নিয়ে নিয়েছিলনে, কংগ্রসেকে সঙ্গে নিয়েছিলেন, জানি না এবারে তাদের ডেকেছেন কি না!”
এই সমাবেশকে ঘিরে রাজনীতিতে চলছে তুমুল বিতর্ক। ডিওয়াইএফআই-এর নেতারা অবশ্য এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির সমালোচনাকে আমলে নেননি। তাঁরা বলছেন, এই সমাবেশে আসা মানুষ সিপিএমকে ভোট দেবেন।