আমের দাম কেজিপ্রতি আড়াই লক্ষ টাকা, বিরল ছবি নেটে দিতেই বাগান থেকে উধাও ফল
এক কৃষক আড়াই লক্ষ টাকার আম ফলিয়ে সেটির ছবি পোস্ট করেছিলেন সমাজমাধ্যমে। তার পরের দিনই তার বাগান থেকে উধাও হল সেই দামি আম। ওড়িশার নুয়াপাড়া জেলার এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন ওই কৃষক। পুলিশের কাছে আম চুরির অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
কৃষকের নাম লক্ষ্মীনারায়ণ। আম চাষ তার শখ এবং জীবিকাও। সম্প্রতি নিজের বাগানে ৩৮ রকমের নানা বিরল প্রজাতির আম ফলিয়েছেন লক্ষ্মীনারায়ণ। সেই সব বিরল এবং বহুমূল্য আমের প্রজাতির দামের কথা জানতে পেরে তিনি এতটাই উত্তেজিত এবং আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, যে ফলাও করে সেই খবর ভাগ করে নেন সমাজমাধ্যমে। সঙ্গে দেন আড়াই লক্ষ টাকা কেজি দরের তার ফলানো আমের ছবিও। তার পরেই ঘটে এই ঘটনা।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম, জাপানের একটি শহরের নামানুসারে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষকরা চাষ করেন। যদিও এই দামি আমের জাত বিশ্বে প্রথমবারের মতো উৎপাদিত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়। 1980-এর দশকে, জাপানের মিয়াজাকিতে আনার পর এই আমের উৎপাদন নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়।
জাপানে “সান এগ” এবং ভারতে “লাল সূর্য” নামে পরিচিত, এই আম গাছটি অঙ্কুরিত হওয়ার সাথে সাথেই বেগুনি হয়ে যায়। জাপানে মিয়াজাকির চারা খুব যত্ন সহকারে রোপণ করা হয়। গাছ থেকে নেমে আসা প্রতিটি ফল আলাদাভাবে চিকিত্সা করা হয়। আর পাকলে এর রং উজ্জ্বল লাল হয়ে যায়।
ডাল থেকে আম ছিঁড়ে ফেলার পরিবর্তে, সেগুলি নিজেরাই পড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। ফল ঝরে পড়ার পর কৃষকরা আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করে যাতে তাদের ক্ষতি না হয়। এই আমটি খুবই নরম এবং মিষ্টি এবং এতে খুব কম ফাইবার থাকে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এই আমের চাষ শুরু করেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। সেখানে তিনি প্রথমে মসজিদের পাশে মিয়াজাকির বীজ রোপণ করেন। এরপর মসজিদ কর্তৃপক্ষ ফলটি নিলামে তুলে বিক্রি করে। আম বিক্রির আয় মসজিদ সম্প্রসারণে যাবে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় এই আমের চাষ হয়।