নিউজ

আদালতে কয়েন দিয়ে ভরণপোষণের ৫৫ হাজার টাকা জমা, ২৮০ কেজির খুচরো মুদ্রা দেখে রাগলেন স্ত্রী

ভরণপোষণের জন্য স্ত্রীকে ৫৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। নির্দেশ মেনে সেই অর্থই আদালতে জমা দিলেন স্বামী। তবে পুরো টাকাটাই তিনি জমা দিয়েছেন খুচরো মুদ্রায়। যা দেখে রীতিমতো চটে গিয়েছেন স্ত্রী। খুচরো দিয়ে তাকে ‘হয়রানি’ করা হয়েছে বলেও স্ত্রীর দাবি। ভারতের রাজস্থানের জয়পুরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ বছর আগে জয়পুরের হার্মাদা এলাকার বাসিন্দা দশরথ কুমাওয়াতের বিয়ে হয়েছিল সীমা কুমাওয়াতের সঙ্গে। বিয়ের তিন থেকে চার বছর পর দু’জনের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন দশরথ। মামলার শুনানি চলাকালীন আদালত তাকে প্রতি মাসে স্ত্রীর ভরণপোষণ বাবদ ৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, গত ১১ মাস ধরে স্ত্রীকে টাকা দিচ্ছিলেন না দশরথ। সীমা এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নোটিস পেয়েও দশরথ সেই টাকা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। গত ১৭ জুন দশরথকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়। ঐ দিনই সাতটি ব্যাগে এক ও দুই টাকার কয়েন নিয়ে আদালতে পৌঁছান দশরথের পরিবার। ব্যাগগুলোর মিলিত ওজন ছিল প্রায় ২৮০ কেজি।

আদালতে উপস্থিত সবাই মুদ্রার বহর দেখে হতবাক হয়ে যান। খুচরো দেওয়ার বিষয়ে স্ত্রী সীমা রেগে গিয়ে আপত্তি জানালেও স্বামী দশরথ দাবি করেন, খুচরো হলেও সেগুলো বৈধ ভারতীয় মুদ্রা। তাই খুচরো জমা দিয়ে তিনি কোনো ভুল করেননি।

টাকা পরিশোধের পর দশরথকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে আদালত। যদিও আদালতের নির্দেশ, পরবর্তী শুনানির দিন কয়েন গুনে জমা দিতে হবে তাকে। আলাদা আলাদা থলিতে ১০০০ টাকা করে পুরে সেই টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৬ জুন শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছে আদালত।

সূত্র: আনন্দবাজার

Back to top button