নিউজ

রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে পাবেন জেল বন্দিরাও, জেনেনিন কী ভাবে?

আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তারপরেই বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের উদ্বোধন। ২২ জানুয়ারি অযোধ্য়ার বুকে উদ্বোধন হতে চলেছে বিশালাকার রাম মন্দির। দেশ-বিদেশ থেকে আমন্ত্রিত সদস্যরা ভিড় করবেন সেদিন। থাকবেন সাধু-সন্তরাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে সর্বসাধারণের জন্য ওই দিন খুলে যাবে রাম মন্দিরের দরজা।

এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে প্রত্যক্ষ করতে দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি জেলবন্দিরাও মুখিয়ে আছেন। উত্তরপ্রদেশের কারামন্ত্রী ধর্মবীর প্রজাপতির ঘোষণা অনুযায়ী, ২২ জানুয়ারী অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের লাইভ স্ট্রিমিং উত্তর প্রদেশের সমস্ত কারাগারে সম্প্রচারিত হবে।

এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী জানান, “রাজ্যে ১.০৫ লাখের বেশি বন্দি রয়েছে। তাঁরাও এই দেশের নাগরিক। বন্দিরা যাতে এই অনুষ্ঠান দেখার থেকে বঞ্চিত না থাকেন তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ। এর জন্য রাজ্যের সমস্ত জেলে লাইভ-স্ট্রিমিং সম্প্রচারিত হবে।”

প্রজাপতির মতে, সকল বন্দিই যে পেশাদার অপরাধী এমনটা নয়। অনেকেই তাঁদের মধ্য়ে এমন রয়েছেন যাঁরা হয়তো পরিস্থিতির শিকার হয়ে অপরাধ করে ফেলেছেন। তাঁর কথায়, “যখন কোনও ঘটনা ঘটেছিল তখন দোষ করার জন্য় অপরাধী হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তা বলে বর্তমানে পবিত্র অনুষ্ঠান দেখার অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা ঠিক নয়। তাই জেলবন্দিরাও যাতে রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করতে পারেন তাই এই আয়োজন করা হয়েছে।”

এছাড়াও উত্তর প্রদেশের ছোট-বড় সব জেলগুলিতে বন্দিদের মধ্য়ে হনুমান চালিশা, সুন্দর কান্দ বিতরণ করা হবে। মন্ত্রী বলেন, “বন্দীদের ভক্তিমূলক ও ধর্মীয় বই দেওয়ার প্রথা অনেক পুরানো। বন্দিদের মধ্য়ে বেড়েছে হনুমান চালিশা, সুন্দর কান্দ পড়ার প্রবণতা। তাঁদের মধ্যে বইগুলির পড়ার আগ্রহ দেখে গীত প্রেস থেকে হনুমান চালিশা, সুন্দর কান্দের প্রায় ৫০ হাজার কপি ছাপার অর্ডার হয়েছে।”

মন্ত্রীর মতে, কয়েদিদের আত্মশুদ্ধির জন্য ধর্মগ্রন্থ পড়তে দেওয়ার রেওয়াজ বহু পুরনো। ধর্মগ্রন্থ পড়ার অভ্য়াস তৈরি হলে বন্দিদশা শেষ হওয়ার পর বাকি জীবনটা সুন্দর ভাবে বাঁচার তাগিদ অনুভব করতে পারেন তাঁরা।

উত্তরপ্রদেশের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন অনেকে। অনেকে মনে করেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বন্দিদের মধ্যে ধর্মীয় চেতনা জাগ্রত হবে। এছাড়াও, ধর্মীয় গ্রন্থ পড়ার মাধ্যমে বন্দিদের আত্মশুদ্ধি ঘটবে এবং তারা ভবিষ্যতে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবেন।

Back to top button