‘নিয়োগপত্র’ নেই অথচ শিক্ষকরা দিনের পর দিন বেতন নিচ্ছেন-প্রশ্ন তুললো হাইকোর্ট
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আজ শুনানি হয়েছিল। রাজ্য সরকার জানায় যে তদন্তকারী দলের প্রধান ডিএসপি মুর্শিদাবাদে এবং তদন্তকারী অফিসার (আইও) গঙ্গারামপুরে ছিলেন। আজ আইও সহ চার জন তদন্তকারী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রিপোর্টে টিমের সদস্যদের নাম উল্লেখ করা হয়নি, তবে তাদের পদ উল্লেখ করা হয়েছে। আইও ছাড়া টিমের কোনও সদস্য বদল হননি।
বিচারপতি বসু বলেন, “আপনারা পদমর্যাদা দিয়েছেন, নাম দেননি। হতে পারে কাল একজন সদস্য বদল হয়েছেন। তারপর একই পদমর্যাদার অন্য ব্যক্তি টিমে চলে এসেছেন। ডিআইজি কে জিজ্ঞাসা করুন, কোর্ট মনিটরিং-এ থাকা তদন্তের জন্য এটা কি টিম গঠনের নিয়ম?”
মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীর পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই আগে থেকেই তদন্ত করছে। সেই ক্ষেত্রে সিআইডির এই সমান্তরাল তদন্ততে সমস্যা হচ্ছে।”
বিচারপতি বলেন, “আমি দেখতে চাই যে তদন্তকারী টিমে সদস্যদের নাম দিয়ে টিম গঠন হল কি না। টিমের সদস্যদের মধ্যে কতজন আজ আদালতে আছেন? গতকাল একজনও আসতে পারলেন না? সবাই তদন্ত করছিলেন? কিছু শিক্ষক দিনের পর দিন বেতন নিচ্ছেন। যাদের কাছে প্রপার নিয়োগপত্র নেই। সিআইডি কী তদন্ত করছে? আপনাদের অনেক সময় দেওয়া হয়েছে তদন্তের জন্য। আর সময় দেওয়া সম্ভব নয়। কিছু ডিআই আর বাবা-ছেলেকে শুধু গ্রেফতার করলেই এই দুর্নীতি চক্রের তদন্ত হয়ে যায় না!”
বিচারপতি বলেন, “৭ দিনের বেশি সময় দেওয়া সম্ভব নয়। এই তদন্তে আরও গ্রেফতারি প্রয়োজন। পরের শুনানির দিন রিপোর্ট দিয়ে জানান। টিমকে মুভ করান। একজন এখানে তো অন্যজন অন্য কোথাও। আমার ইতিবাচক ফলাফল চাই।”
বিচারপতির নির্দেশের পর রাজ্য সরকার তদন্তকারী টিমের সদস্যদের নাম প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দেয়। তারা আরও জানায় যে তারা তদন্তকে ত্বরান্বিত করার জন্য পদক্ষেপ নেবে।