গনেশ চতুর্থীতে ১০০-২০০-৫০০-র নোটে সেজেছে গণেশ মন্দির, জেনেনিন কোথায়?
বেঙ্গালুরুর জেপি নগরের শ্রী সত্য গণপতি মন্দির কর্তৃপক্ষ এবার মন্দিরটিকে সাজাতে এমনই অভিনবত্বের ছোঁয়া রেখেছেন। প্রতি বছর ধুমধাম করে এই মন্দিরে বিনায়কের আরাধনা হয়।
তবে এবছরের থিম অন্য সব বছরকে ছাপিয়ে গিয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে এখন মানুষ এই মন্দিরে ঠাকুর দেখার জন্য যত না ভিড় জমাচ্ছেন তার থেকেও বেশি ভিড় জমাচ্ছেন মন্দিরের এই টাকার ‘মেকআপ’ দেখতে। এবারে মন্দিরটিকে একশোরও বেশি কয়েন ও ১০ , ২০, ৫০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকার নোট দিয়ে সাজানো হয়েছে।
মন্দির প্রাঙ্গণটি ১০০-২০০-৫০০-র নোট দিয়ে সাজানো হয়েছে। মন্দিরের দেয়াল, মেঝে এবং ছাদ সবই নোট দিয়ে আচ্ছাদিত। মন্দিরের ভিতরে, গণেশের মূর্তিও নোট দিয়ে সাজানো হয়েছে।
এই রীতিটিকে অনেকে একটি অপ্রয়োজনীয় এবং অপচয় বলে মনে করেন। তারা মনে করেন যে এটি গণেশের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের একটি ভালো উপায় নয়। অন্যদিকে, অনেকে মনে করেন যে এটি একটি মজার এবং উদ্ভাবনী ধারণা।
এই রীতিটি প্রথম ২০১৬ সালের গণেশ চাতুর্থীতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তখন থেকে, এটি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
নোটের পরিবর্তে ফুল দিয়ে সাজানো উচিত
অনেকে মনে করেন যে গণেশ চাতুর্থীতে গণেশ মন্দিরগুলিকে ১০০, ২০০, ৫০০-র নোট দিয়ে সাজানোর পরিবর্তে, সেগুলিকে ফুল দিয়ে সাজানো উচিত। ফুল একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা গণেশের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের একটি ভালো উপায়। এটি পরিবেশবান্ধবও।
নোটের পরিবর্তে নগদ অর্থ দান করা উচিত
কিছু লোক মনে করেন যে গণেশ চাতুর্থীতে গণেশ মন্দিরগুলিতে ১০০, ২০০, ৫০০-র নোট দিয়ে সাজানোর পরিবর্তে, সেগুলিকে নগদ অর্থ দান করা উচিত। এই অর্থটি মন্দির পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
অবশেষে, এটি ব্যক্তির উপর নির্ভর করে যে সে কীভাবে গণেশ চাতুর্থী উদযাপন করতে চায়। কেউ কেউ ১০০, ২০০, ৫০০-র নোট দিয়ে মন্দির সাজানোর ধারণাটি পছন্দ করতে পারেন, আবার কেউ কেউ ফুল দিয়ে সাজানোর বা নগদ অর্থ দান করার ধারণাটি পছন্দ করতে পারেন।