আপনার কি অতিরিক্ত ঘুম হয়? তাহলে মেনে চলুন এই সহজ নিয়ম
ঘুমের সময় কতটা হবে তা নির্ভর করে বয়স, শারীরিক অবস্থা ইত্যাদির উপর। যেমন- নবজাতকের ঘুমের সময় আর একজন প্রাপ্তবয়স্কের ঘুমের সময় কিন্তু এক হবে না। এ জন্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক কারও জন্য দিনে অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। এ ক্ষেত্রে এক-আধ ঘণ্টা এদিক-সেদিক হলেও সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা হয় যদি এর থেকে কম কিংবা বেশি ঘুম হয়।
নিদ্রাহীনতা যেমন আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতি ডেকে আনে, অতিরিক্ত ঘুমও তেমনই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যারা দিনে নয়-দশ ঘণ্টা ঘুমান, তাদের শরীরে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের রোগ। ওজন বেড়ে যাওয়া, মাথা ব্যথা, পিঠে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি হতে পারে ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের মতো কঠিন ব্যাধিও। আর এই অতিরিক্ত ঘুমের হাত ধরেই আসে ডিপ্রেশন।
অনিদ্রার যেমন কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ থাকে, তেমনই অতিরিক্ত ঘুমও শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে হতে পারে। থাইরয়েড, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, স্লিপ অ্যাপনিয়া, ডিপ্রেশনের কারণে বেশি ঘুম হতে পারে। কিছু কিছু ওষুধের প্রভাবেও অতিরিক্ত ঘুম হয়। দীর্ঘদিন ধরে একটানা ক্লান্তির শিকার হলেও অনেকে বেশি ঘুমিয়ে পড়েন। আবার শুধুমাত্র অনিয়মিত জীবনশৈলীর কারণেও অনেকে বেশি ঘুমান। তাই আপনারও যদি এমন সমস্যা থেকে থাকে, তা হলে সবার আগে তার কারণটা খুঁজে বের করে তা সারানোর দিকে মন দিতে হবে।
অতিরিক্ত ঘুমের পেছনে যদি শারীরিক কোনো অসুস্থতা না থেকে থাকে, তাহলে কিছু সাধারণ উপায় মেনে চলতে পারেন। অভ্যাস আর ঘুমের প্যাটার্নে সামান্য অদলবদল ঘটিয়েই মুক্তি পাওয়া যায় অতিরিক্ত ঘুমের হাত থেকে।
* প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং সকালে একই সময়ে ঘুম থেকে উঠুন। নিয়মিতভাবে এটা বেশ কিছুদিন করতে পারলে শরীর ধাতস্থ হয়ে যাবে, ঘুমের নির্দিষ্ট ছন্দ আসবে। এই ছন্দটা ভাঙতে দেবেন না।
* ঘুমানোর জায়গাটা আরামদায়ক হওয়া দরকার। ঘর অন্ধকার আর ঠান্ডা রাখুন। সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস সুইচ অফ করে দিন। বালিশ আর বিছানার গদি যেন আপনার অস্বস্তির কারণ না হয়, তেমন হলে তা বদলে ফেলুন।
* জাগ্রত অবস্থায় কিছু সচেতন অভ্যাস আপনার ঘুমের রুটিনকে ছন্দে ফেরাতে পারে। চা-কফি খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন, ঘুমানোর আগে একেবারেই এসব খাবেন না। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কখনও ব্যায়াম করবেন না।
* দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর ভাতঘুম দেওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু দুপুরের এই ঘুম আপনার ঘুমের ছন্দটাকে নষ্ট করে দিতে পারে। আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ হলে দুপুরের ঘুমটা বর্জন করুন। বরং এমন কিছু কাজ করুন ওই সময়টায় যাতে ঘুম না আসে।